অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আশ্বাসে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের চলমান কর্মসূচি তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূসের সাথে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছয়জন প্রতিনিধি। এরপর কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা।
বৈঠকে তারা বলেন, অবিলম্বে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে হামলা-ভাঙচুরে জড়িতদের বিচার করতে হবে। এছাড়া আরও ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি অর্থী দে বলেন, সরকার স্বল্পমেয়াদী দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছে। এই সময়টুকু সরকারকে দেয়া হবে।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার সাথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, চেতন সনাতনী নাগরিক ও জাগরণ হিন্দু মঞ্চ নামের তিনটি সংগঠন।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। জনগণের মনে আস্থা ও আশা জাগানোর পরিবেশ তৈরি করতে চান তারা।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, অতীতে দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে তা এই সরকার যাতে সমূলে ধ্বংস করে। যাতে কেউ এই অপচেষ্টা করে পার না পায়।
সচেতন সনাতনী নাগরিকের উপদেষ্টা হিরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে সুরক্ষিত রাখবেন।
এদিকে, বৈঠকে আসন্ন দূর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটি এবং স্টার সানডে ও প্রবারণা পূর্ণিমায় একদিন করে ছুটির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত চারদিন ধরে শাহবাগ মোড়ে সংখ্যালঘু অধিকার পরিষদের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, মন্দির-উপাসনালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে বিক্ষোভ করছে।
bdnewseu/13August/ZI/politics