সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শাকিলের সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভোলায়!২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিলের “প্রতি বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভোলা জেলা অদ্য ১২ আগস্ট (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভোলা সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মোমশিখা প্রজ্জ্বলণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করেছে। এবং সকল বীর শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ভোলা জেলা।
শহীদ জুলফিকার আহমেদ শাকিল যে, চেতনা ধারন করে রাজপথে জীবন দিয়েছেন। সেই চেতনার রাষ্ট্র কায়েম করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।কয়েক শতাধিক লাশের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে। আর কাউকে স্বৈরচারি শাসন, দখল, লুটপাটের সুযোগ দেয়া হবে না। ছাত্ররা সর্বদা রাজপথে থেকে সমতার রাষ্ট্র কায়েমে কাজ করে যাবেন।” এবং সকলে মিলে দেশকে একটি মানবিক সমাজে রুপান্তর করতে হবে।”
মোমশিখা প্রজ্জ্বলণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ভোলা জেলার সংগঠক তানজিল হোসেন ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ভোলা জেলার সংগঠক হাবিবুর রহমান মোল্লার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইস্রাফিল হোসাইন জাবির তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “জুলাই থেকে গণহত্যায় শতাধিক ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছে এবং কয়েক হাজার আহত অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এই সকল ভাইয়েদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচারী সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে আমাদের দেশকে মুক্ত করেছি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী আমাদের অর্জনকে ভূলন্ঠিত করার জন্য সারাদেশে লুটপাট, অগ্নি- সংযোগে মেতে উঠেছে। এসব দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে আমরা পাড়ায় মহল্লায় শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাপ্তি বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ভোলা জেলার সংগঠক তানজিল হোসেন বলেন, সকল বীর শহীদের পরিবারকে তাদের একজীবনের উপার্জন সম ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এবং আহতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে। ছাত্র- জনতার আন্দোলনে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থায় আনতে হবে। জুলাইয়ে গণহত্যায় সকল শহীদ ভাইয়েদের জাতীয় বীর স্বীকৃতি দিয়ে তাদের নিজ শহরে স্মৃতিফলক উন্মোচন করতে হবে। এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করতে হবে। সকল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবর্ষ থেকে বৈধ সিটের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহনে হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে। এবং চিকিৎসা সেবা কার্ডের মাধ্যমে সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।”
bdnewseu/13August/ZI/bhola