• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

শাড়ি পরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন আদিবা নওমী

তানজিল হোসেন, ন্যাশনাল ডেস্ক রিপোর্ট বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

শাড়ি পরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন আদিবা নওমী।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন আদিবা নওমী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থাপনা- দেয়ালে নানা ধরনের মন্তব্য-স্লোগান লিখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এখন তাঁরাই সেসব মুছে পরিষ্কার করছেন। একই সঙ্গে আন্দোলন ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগে রাস্তায় জমে থাকা ইটপাটকেল এবং আবর্জনা পরিষ্কারের অভিযানেও নেমেছেন তাঁরা।

করতেছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজও। যেসব শিক্ষার্থীরা এ কাজ করছেন, তাঁদেরই একজন আদিবা নওমী। সহপাঠীদের সঙ্গে সড়কের যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে শাড়ি পরেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নেমেছেন তিনি। আদিবার এহেন ব্যতিক্রমী কাজের প্রশংসা করছেন সবাই।

আদিবা নওমী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ‘আজকের পত্রিকা’র পাঠক ফোরাম ‘পাঠকবন্ধু’র ক্যাম্পাস ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই যুক্ত আদিবা।ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জানতে চাইলে আদিবা বিভিন্ন গণমাধ্যম বলেন, ‘দেশের মানুষ যেটি গত ১৫ বছরে করতে পারেননি, আমরা শিক্ষার্থীরা সেটা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই করে দেখিয়েছি। পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় দেশের ট্রাফিকব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই নিজের এলাকার সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে শাড়ি পরেই রাস্তায় এসেছি।’

শাড়ি পরেই কেন.? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শাড়ি পরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। শাড়ি বাঙালি নারীর ভূষণ। একটি মেয়ে সালোয়ার- কামিজ পরে যেমন সব কাজ করতে পারেন, একইভাবে শাড়ি পরেও করতে পারেন। আমাদের মায়েরা বেশির ভাগ সময় শাড়ি পরেন। শাড়ি পরেও যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা যায়, সেটাই আমি মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।’

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও আদিবা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বণ্টনের কাজ করেছেন। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেছেন। দেশের প্রয়োজনে এসব কাজ করতে পেরে তিনি বেশ আনন্দিত।

bdnewseu/13August/ZI/lifestyle


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ