“বর্তমান সরকার ভাসানীকে ভয় পায়” : ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
মওলানা ভাসানীর ১৪০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালের মেজর হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র-যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ এবং রাষ্ট্রচিন্তা’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী জননেতা আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য হাসনাত কাইয়ুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচার যখন বাসা বাঁধে তখন সেই স্বৈরাচারী শাসক জনমানুষের মন থেকে দেশপ্রেম মুছে ফেলতে চায়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ভাসানীকে ভয় পায়। ভাসানীকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আবুল হাসান রুবেল বলেন, শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ভোটের কথা বলে সকল রাজনৈতিক দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রাতের আঁধারে কারচুপি করে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে তিনি সেই ওয়াদা ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং শেখ হাসিনা ওয়াদা ভঙ্গকারী। তিনি আরো বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে। সরকারের জুলুম, মিথ্যাচার এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সমস্ত গণতন্ত্রকামী দেশপ্রমিক মানুষকে ভাসানীর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, মওলানা ভাসানী সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তিনি এমনই দেশপ্রেমিক ছিলেন যিনি মানুষের এবং দেশের স্বার্থে পাকিস্তানি দমন নীতির বিরুদ্ধে যেমন আন্দোলন করেছেন তেমনি বঙ্গবন্ধুর জনবিরোধী শাসনের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন। তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন, গৃহবন্দী থেকেছেন। তিনি আরো বলেন, ভাসানী মানে বাংলাদেশ।
রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ভাসানী যেভাবে জনমানুষকে সংঘটিত করে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়েছিলেন আমরাও সে পথেই অগ্রসর হচ্ছি।
গরীব মুক্তি আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুজ্জামান মিলন বলেন, পঁচানব্বই ভাগ মানুষের নেতা ছিলেন মওলানা ভাসানী।মওলানা ভাসানীর লড়াকু চেতনায় বর্তমান দুঃশাসনের স্পর্ধাকে ভেঙে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, ভাসানী টেবিলে নয়, মাঠে ময়দানে সাধারণ মানুষের মাঝে থেকে স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপসহীন লড়াই করেছেন। এই সময়ের তরুণরা যদি মওলানা ভাসানীর দিশায় আরেক বার জনগণের স্বার্থের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করে বিজয় অর্জন করে তাহলে সেই অর্জন বেহাত হবে না।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইন বাবু, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন।
বিডিনিউজ ইউরোপ / ১২ ডিসেম্বর / জই