সাহেবের বাজারে রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পথে
সিলেট সদর উপজেলার ৩নং খাদিম নগর ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকায় বাজারের ২য় রাস্তাটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পথে।
আজ (১২ডিসেম্বর২০২০ইং)বেলা ১০টায় সাহেবের বাজার মাদরাসায় পূর্ব ঘোষিত সালিস বৈঠকের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে উপস্থিত দু’পক্ষের দাবী দাওয়া এবং রাস্তা নিয়ে সকল আপত্তি বিপত্তি শুনার পর দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেন।কিন্তু সুষ্ঠু সমাধান করতে না পারায়
সালিশ বৈঠকে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন ও এলাকাবাসীর মধ্যে জামানতের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে আইনী ভাবে বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রস্তাব রাখেন ইউ/পি চেয়ারম্যান দিলোয়ার হোসেন।
জৈষ্ঠ্য মুরব্বিয়ানগণের সমন্বয়ে আনিত প্রস্তাবে পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিন ও এলাকাবাসী এতে সম্মতি জানালে স্হানীয় ভাবে সালিসি সভার ইতি ঘটে বেলা ১২টায়।
১২.৩০মিনিটের দিকে রাস্তাটি পরিদর্শন করে সৃষ্ট ঝামেলাটি নিষ্পত্তি করে দিতে ঘটনাস্হলে উপস্থিত হন সিলেট সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শবনম শারমিন,সদরের সরকারি ভূমি সার্ভেয়ার জাকির হোসেন।
পল্লী চিকিৎসক আকরাম উদ্দিনকে এসময় প্রশ্ন করে শবনম শারমিন বলেন,ডিসি খতিয়ানের ৮ডেসিমেল হতে কীভাবে ৪ডেসিমেল আপনি কেটে নিয়ে আসলেন?প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি আকরাম উদ্দিন।শবনম শারমিন এসময় রাস্তায় সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেন এবং রাস্তাটির উপর নির্মিত ছাদ,খুঁটি ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে বলেন,
একি সাথে উপরোক্ত জায়গা রাস্তা হিসেবে ঘোষণা করে তিনি উৎসুক জনতাকে আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য যে,রাস্তাটি সাহেবের বাজার এলাকার মসজিদ, মাদরাসা,স্কুল ও কলেজের ছাত্র ছাত্রী এবং ব্যবসায়িদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বহুযুগ থেকে তা রাস্তা হিসেবেবেই চিহ্নিত ও ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিন্তু বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সূত্রে জানা যায়,২০০৪ সালের বিএস মাট জরীপে উক্ত সড়কটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সিলেটের নামে রেকর্ড হয়। মৌজা ফরিংউরা জেএল নং-৫০, বিএস ডিপি খতিয়ান-১, বিএস বুজারত-২৬২৯, বিএস দাগ নং-২৭৯৫, জমির শ্রেণী রাস্তা, পরিমান- ০৮ শতক এই নামে বিএস রেকর্ড হয়। পাশাপাশি বিএস বর্তমান ম্যাপেও রাস্তা হিসাবে চুড়ান্ত প্রকাশনা হয়। কিন্তুু সম্প্রতি ফরিংউরা মৌজার বিএস প্রিন্ট পর্চা বিতরন কালে এবং রাস্তার বাউন্ডারি ধরে রাস্তার উপরে কাজ চালু করায় এলাকাবাসীর চোখে পড়ে বিষয়টি।
বিতরণকৃত প্রিন্ট পর্চায় সরকারের নামে রেকর্ড হওয়া সড়কটি আক্রাম উদ্দিন সরকারি খতিয়ানের রেকর্ড হওয়া ০৮ শতক ভূমির মধ্যে থেকে ০৪ শতক রাস্তা তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে অত্র মৌজার ১৭ নং খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের নামে নিয়ে নেন। শুধু তাই নয়,সেটেলমেন্ট অফিসারদের হাতে নিয়ে জমির শ্রেণী পর্যন্ত পরিবর্তন করে বর্তমানে ভিটা হিসাবে রেকর্ড করে ফেলেন।যা দণ্ডনীয় অপরাধ।
অবশেষে,উপস্থিত এলাকাবাসীর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি স্হায়ী ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে রাস্তায় ফিতা ফেলে জরিপ শুরু করতে সার্ভেয়ারকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং রাস্তাটির সীমানা চিহ্নিত করতে বলেন।
এসময় স্হানীয় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে জরিপ কার্য সম্পন্ন হয়।ম্যাপ জটিলতার কারণে
আগামি সোমবার তা স্হায়ী ভাবে সমাধানের জন্য চূড়ান্ত জরিপের তারিখ নির্ধারণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি),সিলেট সদর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুরব্বি সাবেক স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ইলিয়াস আলী,সিনিয়র মুরব্বি তৈবুর রহমান,জয়নাল আবেদীন,হাজী নাসির উদ্দীন,
সাহেবের বাজার মাদরাসার সভাপতি হাজী শামসুর রহমান,প্রধান শিক্ষক মাও.আব্দুর রউফ,
জালাল আহমদ(মাস্টার),
আব্দুল হান্নান,বর্তমান মেম্বার আনসার আলী,
সাহেবের বাজার মাদরাসার হিফজ শাখার প্রধান হাফিজ আব্দুর রব,সমাজ সেবক
মামুনুর রশীদ শামিম,সাহেবের বাজার ব্যবসায়ী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান,এড.খুরশেদ আলম,আম্বরখানা সিএনজি স্ট্যান্ড(৭০৭) এর সাংগঠনিক সম্পাদক,সালিশ ব্যক্তিত্ব মোঃনুরুল ইসলাম,ফয়জুর রহমান,পল্লী চিকিৎসক মুখতার আহমদ,
সাহেবের বাজার স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান,মুজিবুর রহমান,ইসমাইল আলী,
আবদুস সালাম,খাদিম নগর ছাত্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা শিক্ষক আব্দুল বাসিত,ইমরান আলী তালুকদার,মোহাম্মদ আলী বটল,ইয়াং স্টার সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মতিউর রহমান,সাধারণ সম্পদক উস্তার আলি,
সিলেট সদর উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম,
তৈয়বুর রহমান,সাহেদ আহমদ,সুলতান আহমদ,
মঈন উদ্দিন,কছির উদ্দিন,
আব্দুল মালিক,রাধা প্রমুখ।
বিডিনিউজ ইউরোপ /১২ ডিসেম্বর / জই