হাতীবান্ধায় মাশরুম চাষ ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও দূনীর্তির অভিযোগ উঠেছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়া গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন। ওই কৃষকের নামে ৩লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বরাদ্দকৃত ঘরটি হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া নিজেই নির্মাণ করছেন। এ কাজে দেখভাল করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনছুর আলী।
কোন রকমের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের কাজ দিয়ে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেস্টা করছেন ওই কৃষি কর্মকর্তা। প্রকল্পের প্রাকল্পিক ব্যয় নির্ধারণ ছিল ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। বরাদ্দকৃত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোটেশন আহবান ও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি দেয়ার বিধান থাকলেও নিয়ম না মেনেই কাজটি করছেন কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া। নিয়ম অনুযায়ী কোটেশন করার কথা থাকলেও কোনো নিয়ম কানুন মানা হয়নি। এমনকি বিল ভাউচারও না করে তড়িঘড়ি করে কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। ফলে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে ও কাজটিও করা হচ্ছে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে। যে কারনে সরকারের নতুন নতুন মাশরুম উদ্যোক্তা সৃষ্টির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এমন দাবী স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের।
প্রসঙ্গত : ব্যাঙের ছাতাকে ইংরেজিতে মাশরুম বলে। বাংলাদেশের আবহাওয়া মাশরুম চাষের উপযোগি। এ মাশরুম চাষ লাভজনক।মাত্র ১০ হতে ১৫ দিনেই এটি খাবার উপযোগী হয়ে উঠে।এটি চাষের জন্য আবদী জমির প্রয়োজন হয়না।চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজলভ্য। বেকার যুবক ও যুবতী ঘরে বসে এর চাষ করতে পারে।অন্যান্য সবজির তুলনায় বাজারে এর দামও বেশি।
মাশরুম চাষী মোতাহার হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া নিজেই ঘর নির্মানের কাজটি করছেন। কাজটি ভালো না মন্দ হচ্ছে এ বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় বলতে পারছিনা।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষি বিভাগের উপ পরিচালকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আর্থিক বিধি বিধান মনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়াকে মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
bdnewseu/8July/ZI/Lalmonirhat