• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

জার্মানিকে হারিয়ে স্পেন ইউরো কাপের সেমিফাইনালে

Kabir Ahmed International Sports desk
আপডেট : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

জার্মানিকে হারিয়ে স্পেন ইউরো কাপের সেমিফাইনালে।ইউরো কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন ২-১ গোলে স্বাগতিক জার্মানিকে পরাজিত করেছে।শুক্রবার (৫ জুলাই) জার্মানির স্টুটগার্টে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের (EURO 2024)প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন আয়োজক স্বাগতিক দেশ জার্মানিকে বিদায় করে দিল।শ্বাসরুদ্ধকর খেলার অতিরিক্ত সময়ের ১১৮ মিনিটের গোলে জার্মানিদের হারিয়ে স্পেন সেমিফাইনালে উঠেছে। খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে,অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা হয় জয়-পরাজয় নিশ্চিতের জন্য।ইউরো ফুটবলের শক্তিশালী ধারাবাহিক এই দুই দল মুখোমুখি হয় কোয়ার্টার ফাইনালে। ফলে খেলা যে টান টান হবে তা আগে থেকেই আশা করা হয়েছিল। সেটাই হল। দু’দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললো। ড্যানি অলমোর গোলে স্পেন প্রথমে এগিয়ে গেলেও জার্মানি হাল ছাড়েনি। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে সমতা ফেরান ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজ। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন স্পেনের মিকেল মেরিনো। গোল আর পরিশোধ করতে পারেনি জার্মানি। ঘরের মাঠে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। জার্মানি প্রথম আয়োজক দেশ যারা ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিল।

গত ইউরোর সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে অলমোর পেনাল্টি ফস্কেছিলেন। ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল স্পেন। এ বার তিনি একটি গোল করলেন। দেশে খলনায়ক থেকে নায়ক হয়ে উঠলেন তিনি।স্পেনের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে কয়েকটি পরিবর্তন করেছিলেন জার্মানির কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান। এমরে চ্যান, লেরয় সানেদের শুরু থেকে খেলান তিনি। সানেকে রাখা হয়েছিল নিকো উইলিয়ামসকে আটকানোর জন্য। স্পেনের আক্রমণ ভাঙার বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল টনি ক্রুজকে। সেখানেই ভুল করে ফেলেন নাগেলসম্যান। ক্রুজ় অনেকটা সময় জুড়ে রক্ষণকে সাহায্য করে গেলেন। ফলে প্রথমার্ধে জার্মানির আক্রমণে সমস্যা হল।

খেলার ৮ মিনিটের মাথায় বড় ধাক্কা খায় স্পেন। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পেদ্রিকে। বাধ্য হয়ে অনেক আগেই অলমোকে নামান স্পেনের কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তে। তবে তা শাপে বর হয়। অলমো নামায় স্পেনের আক্রমণে অভিজ্ঞতা বাড়ে। প্রথম থেকেই শারীরিক ফুটবল চলছিল। শুরুতে জার্মানির ফুটবলারেরা বেশ কয়েকটি কড়া ট্যাকল করেন। কিন্তু রেফারি শুরুতে খেলার ছন্দ খারাপ করতে চাননি। তার মাঝেই ২১ মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ পান জার্মানির কাই হাভার্ৎজ়। জোশুয়া কিমিকের ক্রস থেকে তাঁর হেডে বেশি গতি ছিল না। উনাই সিমোনের বাঁচাতে সমস্যা হয়নি।

দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। বক্স থেকে বক্সে আক্রমণ হচ্ছিল। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছিল দু’দলের রক্ষণকেই। প্রথমার্ধে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পেন। মাঝমাঠের দখল তাদের বেশি ছিল। ৪০ মিনিটের মাথায় অলমোর শট ভাল বাঁচান জার্মানির গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ের। গোলশূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়ার দু’মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ পান স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। লেমিন ইয়ামালের পাস ধরে গোল করতে পারতেন তিনি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। যদিও ৪ মিনিট পরেই জার্মানিকে ধাক্কা দেন অলমো। আবার ইয়ামাল ডান প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে পাস বাড়ান। ডান পায়ের শটে গোল করেন অলমো। এগিয়ে যায় স্পেন।

গোল খাওয়ার পরে বদলে গেল জার্মানির খেলা। খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো আক্রমণ শুরু করে তারা। ক্রুজ়কে আক্রমণে এগিয়ে দেন কোচ। নামান নিকলাস ফুলক্রুগ, ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজ়দের। ফলে একের পর এক আক্রমণ ভেসে আসছিল স্পেনের বক্সে। কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে স্পেন।

৭০ মিনিটের মাথায় রবার্ট আন্দ্রিচের শট ভাল বাঁচান সিমোন। ৭৭ মিনিটের মাথায় বক্সের ভিতর থেকে ফুলক্রুগের শট পোস্টে লেগে ফেরে। কোনও ভাবেই স্পেনের গোলের মুখ খোলে যাচ্ছিল না। ৮২ মিনিটের মাথায় সিমোনকে এগিয়ে থাকতে সরাসরি গোল লক্ষ্য করে শট মারেন হাভার্ৎজ়। বল বারের একটু উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

শেষ তাস হিসাবে টমাস মুলারকেও নামিয়ে দেন জার্মানির কোচ। লাগাতার আক্রমণের ফল পায় জার্মানি। ৮৯ মিনিটের মাথায় মিটেলস্টাডের ক্রস হেডে নামিয়ে দেন হাভার্ৎজ়। চলতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন উইর্ৎজ়। পোস্টে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। সমতা ফেরায় জার্মানি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবল দু’দলের। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, কোনও দলই টাইব্রেকারের কথা ভেবে খেলছে না। প্রথমার্ধে কোনও গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগে স্পেনের কুকুরেয়ার। পেনাল্টির আবেদন করে জার্মানি। কিন্তু কুকুরেয়া ইচ্ছাকৃত ভাবে হাতে বল লাগাননি। তাই রেফারি পেনাল্টি দেননি।

দু’দলের ফুটবলারেরাই নিজেদের ১০০ শতাংশ দেওয়ায় শেষ দিকে ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন। বাধ্য হয়ে দু’দলের কোচই ছ’জন পরিবর্ত ফুটবলার নামান। আর কোনও তাস বাকি ছিল না তাঁদের হাতে। ১১৫ মিনিটের মাথায় কিমিকের শট ভাল বাঁচান সিমোন। খেলা ধীরে ধীরে টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই স্পেনের জাদু। বাঁ প্রান্ত থেকে বল তোলেন অলমো। হেডে ন্যুয়েরকে পরাস্ত করেন মিকেল মেরিনো। গোলের ক্ষেত্রে জার্মানির ডিফেন্ডার রুডিগারের দোষ ছিল। নিজের জায়গায় ছিলেন না তিনি। ফলে ফাঁকায় হেড করেন মেরিনো।

আর ফিরতে পারেনি জার্মানি। একেবারে শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ফুলক্রুগ। কিন্তু মেরিনো হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তাঁর হেড পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন স্পেনের ড্যানি কার্ভাহাল। দলের জন্য কার্ড দেখেন তিনি। তাতে রাগ করেননি কোচ। কার্ভাহালকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।

bdnewseu/6July/ZI/EuroCup

 


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ