• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে তুরস্ক ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে

Kabir Ahmed International Sports desk
আপডেট : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪

অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে তুরস্ক ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।খেলার ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় প্রথম গোল করে তুরস্কের ডেমিরাল ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করার রেকর্ড গড়লেন।মঙ্গলবার (২ জুলাই) জার্মানির লাইপজিগ রেড বুল আরিনা স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ (EURO 2024) ফুটবলের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ক এবছরের ইউরো কাপের ডি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। তুরস্ক আগামী শনিবার (৭ জুলাই) কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের সাথে খেলবে।অস্ট্রিয়া ও তুরস্কের মধ্যকার খেলাটি আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে বেশ প্রাণবন্ত ছিল। খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় দ্রুততম গোল করে এগিয়ে যায় তুরস্ক। বিরতির পর গোলের ব্যবধান বাড়ায় তুরস্ক। তুরস্কের পক্ষে দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার এম. ডেমিরাল।

খেলার প্রথম মিনিটেই গোল খেয়ে অস্ট্রিয়া কিছুটা হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। নিজেদের জালে তুরস্কের দুই গোল হজমের পর, অবশ্য এক গোল শোধ করে তারা। তবে অনেক চেষ্টা করেও দ্বিতীয় গোল করে খেলায় সমতা আনতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের শক্ত ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসাবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। আগামী শনিবার ( ৬ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে তারা। ইউরো কাপ ২০২৪ এর শেষ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ খেলায় রেফারি খেলা শুরুর বাঁশি বাঁজানোর সাথে সাথেই ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় প্রথম গোল করে অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ় কোনও রকমে বল বার করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন এম. ডেমিরাল (১-০)। ডেমিরালের এই গোল ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল।

তবে পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে ব্যর্থ হন। পোস্টের পাস দিয়ে বল বের হয়ে যায়। প্রথমার্ধে দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। অস্ট্রিয়া অধিকাংশ সময় থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল।তবে তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।দু’দলই বেশ কয়েক বার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজ়ার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।

খেলার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ রাল্ফ । ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান অস্ট্রিয়ার স্ট্রাইকার আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই অস্ট্রিয়ার লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তাঁর বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট হয় অস্ট্রিয়ার। এ বার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণভাগ।

এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। ফলে তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল(২-০)। অস্ট্রিয়ার দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে শত চাপের মাঝেও কী ভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবলে কাজে দেয়। খেলার ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ (২-১)। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজ়ারেরা। কিন্তু তুরস্কের শক্ত রক্ষণভাগ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে থেকে তুরস্কের প্রাচীর ভেঙ্গে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।

যত সময় গড়াচ্ছিল, ততই ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তাঁরা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনও রকমে বাঁচান তুরস্কের গোলরক্ষক গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হল অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নিল তুরস্ক। আগামী শনিবার তারা ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে।

bdnewseu/3July/ZI/EuroCup


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ