রবিবারের ফরাসী নির্বাচনে ম্যাঁক্রোর দল বিজয়ের জন্য ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে ।২০২৪ ফরাসি আইনসভা নির্বাচন প্রথম রাউন্ডের ফলাফল ।ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত জুন মাসে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন এবং ৩০ জুন প্রথম দফা এবং ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোটের মাধ্যমে স্ন্যাপ আইনসভা নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। এই নির্বাচনে, ৫৭৭ টি সংসদীয় আসন দখলের জন্য বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন । ফ্রান্সের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত নতুন জাতীয় পরিষদে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী দল বা জোট থেকে আসবেন।মেরিন লে পেনের অতি-ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টি রবিবার ফ্রান্সের স্ন্যাপ পার্লামেন্ট নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তিনি ৩৩শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আসছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট প্রায় ২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর ক্ষমতাসীন জোট ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ইউরোপীয় নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থী জাতীয় সমাবেশ উল্লেখযোগ্যভাবে তার কেন্দ্রবাদী জোটকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ম্যাঁক্রন ৯ জুন জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন।
৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে ২৩০ থেকে ২৮০ টি আসনের মধ্যে অতি-ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি পার্টি জিতবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম দলটি ১২৫ থেকে ১৬৫ টি আসনের মধ্যে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট এবং ৭০ থেকে ১০০ আসনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী এনসেম্বল জোট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরাসি পার্লামেন্টে ম্যাজিক ফিগার ২৮৯। অর্থাৎ, যে দলের কাছে ২৮৯টি আসন থাকবে, তারাই সরকার গঠন করতে পারবে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় অতি দক্ষিণপন্থিরা বেশি আসন পেলেও ২৮৯ টি আসন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। ফলে আরএন-ও ভোট পরবর্তী জোটের পথে হাঁটছে। ছোট দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জোট তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে তারা। রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গেও তারা হাত মেলাতে পারে।
অন্যদিকে মাক্রোঁ বামপন্থিদের সঙ্গে জোটের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে অনেকেই মনে করছেন, প্রথম পর্বের পর যে ইঙ্গিত মিলছে, তা সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে দ্বিতীয় পর্বে। বামপন্থিদের ভোটের যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, তাতে ভুল থাকার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন অনেকে। ফলে দ্বিতীয় পর্বের ভোটের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয় বলেই কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের বক্তব্য রয়েছে।
বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পরেই প্যারিসের
রিপাবলিকান স্কোয়ারে হাজার হাজার ফরাসি নেমে পড়েন। অতি দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সংবাদসংস্থা এপি-কে এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, ফ্রান্স চরমপন্থার দিকে এগিয়ে চলেছে। তার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য , দক্ষিণপন্থিদের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে ফ্রান্সে বিভেদের রাজনীতি আরো বেশি গুরুত্ব পাবে। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতার ধারণা বদলে যাবে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী জোট গড়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। বস্তুত, মাক্রোঁ এবং বামপন্থিরাও রাজনৈতিক নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে।
bdnewseu/1July/ZI/France