• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ধারাভাষ্যে সাকিব কে নিয়ে তামিমের যত কথা ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা; পাঁচ শিক্ষার্থী গ্রেফতার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুই মাসের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যৌথ-বাহিনীর অভিযানে কল্লাকাটা মিজান’সহ ৭ সন্ত্রাসী আটক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’জনকে কুপিয়ে জখম, দুই পক্ষের ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি অস্ট্রিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ অস্ট্রিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার কবলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বছরে লোকসান ৬৬ কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধিদলের সাথে আলোচনা গ্রিসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

ঝালকাঠি জেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পুনর্বাসিত ২ হাজার ১৮৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসন

Badhon Roy, Zalokati
আপডেট : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

ঝালকাঠি জেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পুনর্বাসিত ২ হাজার ১৮৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও আত্মসামাজিক উন্নয়ন চলছে।ঝালকাঠি জেলায় বর্তমান আ’লীগ সরকার আমলে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এখন পর্যন্ত জেলার ৪টি উপজেলায় ২ হাজার ১৮৬টি পরিবারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ ও পুনর্বাসন করে দিয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে ৩৯৮টি পরিবার, নলছিটি উপজেলায় ১০টি ইউনিয়রে মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে ৫৮৫টি পরিবার, রাজাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নই ৬০১টি ঘর নির্মাণ এবং কাঠালিয়া উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ৬০২টি গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করেছে সরকার। এই সকল ইউনিয়নের সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে গৃহ নির্মাণ করে যাওয়া হয়েছে। সূচনার বছরে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে গৃহনির্মাণ ব্যয় ও ডিজাইন পরিবর্তন করে বর্তমান পর্যায়ে ৩লাখ ৯০ হাজার টাকা করে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন জেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছিল। তবে নদী ভাঙন ও বিভিন্ন ধরণের দুযোর্গের কারণে মানুষের গৃহ নির্মাণের চাহিদা থাকায় নতুন নতুন প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এরপূর্বেও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আবাসন প্রকল্পের আওতায় আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে এবং সেই সকল আবাসন প্রকল্পগুলির চালার টিন দীর্ঘদিন হওয়ায় মরিচা পরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে রয়েছে বর্ষা হলে সেখান থেকে বৃষ্টির পানি ঝড়ে। সরকারীভাবে এর মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে টিন পাল্টে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করছে।

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নবগ্রামে ২৯টি, পোনাবালিয়া এলাকায় কুতুবনগর মৌজায় ৩ দফায় ৮৫টি, কেওড়া ইউনিয়নের ২ দফায় ২২টি, গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের ছত্তরকান্দায় ১২টি, নথুল্লাবাদ বাড়ৈয়ারা ৪০টি, শেখেরহাটের ২টি পর্যায়ে ২৩ এবং বিনয়কাঠীর সুগন্ধীয়ায় ২টি পর্যায়ে ১৮৭টি গৃহনির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে। নলছিটি উপজেলায় ভৈরবপাশা ইউনিয়নের চর ষাইটপাকিয়া এলাকায় ৩ দফায় ৩৭৩টি, মাটিভাঙ্গা এলাকায় ১০৭টি, মগর ইউনিয়নের রায়াপুর ৪টি, কুশাঙ্গাল ইউনিয়নের ২টি পর্যায়ে ৬০টি এবং দপদপিয়ার জুরকাঠিতে ৪১টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

রাজাপুর উপজেলায় সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠীতে ২৫টি লেবুবুনিয়া ৪টি ও সাতুরিয়া গ্রামে ১৫টি, রাজাপুর সদর ইউনিয়নের বড় কৈবর্তখালীর ৫ধাপে ২৯৭টি, ফুলুহার গ্রামের ৬০টি, বড়ইয়া ইউনিয়নে উত্তমপুর ৬৪টি, চল্লিশকাহনিয়া ১৬টি, মডবাড়িয়া ইউনিয়নের চর ইন্দোপাশা ১৪টি, গালুয়া ইউনিয়নের চারাখালী গ্রামে ৩১টি ও চর গালুয়া গ্রামে ৪৪টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

কাঠালিয়া উপজেলায় আমুয়া ইউনিয়নে সোনাউঠা গ্রামে ১৫টি, তালতলা ইউনিয়নে ১৯টি, কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নে দক্ষিণ আউড়ায় ৭২টি, পশ্চিম আউরা ২৪টি, দক্ষিণ অনালগুনিয়া ৪২টি, শৌলাজালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন তালগাছিয়া ৬৬টি, ও কচুয়া গ্রামে ৫টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। চেচরীরামপুর ইউনিয়নে মহিষকান্দি গ্রামে ১৯টি, রামপুর গ্রামে ১৩টি, দক্ষিন চেচরী গ্রামে ৪৮টি ও দক্ষিন চেচরী জোড়পোল এলাকায় ১২৫টি গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়াও এই ইউনিয়নে আমুয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আমুয়ার বাসবুনিয়ায় ৫১টি আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর চড়াইল গ্রামে ৫১টি এবং পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের জোড়খালি গ্রামে ৪৯টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের আত্মসামাজিক উন্নয়নে সরকারিভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমবায় পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি উন্নয়নের কাজে ক্ষুদ্র ঋণসহ আত্মসাজামিক উন্নয়নে এনজিওদেরও ভূমিকা রয়েছে এবং সম্প্রীতি জেলা মাসিক রাজস্ব সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন শিবলি এর সভাপতিত্বে এই বিষয়গুলিকে সমন্বয় করা ও এর অগ্রগতি অব্যাহত রাখার গৃহীত উদ্যোগ সুষ্ঠ্যভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

bdnewseu/30June/ZI/Zalokati


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ