ভোলায় মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডা।‘পাঠক যারা লেখক তারা’ এই স্লোগানে বরিশাল থেকে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিন মুক্তবুলি। জনপ্রিয় এই ম্যাগা জিনের লেখকদের নিয়ে ভোলার কুনজেরহাট বাজারে প্রাণবন্ত সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ জুন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন।মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা সম্পাদক কবি ফিরোজ মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন একাধিক গ্রন্থের লেখক কবি নীহার মোশারফ, ছোটদের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও শিশু সাহিত্যিক মামুন সারওয়ার, বাংলা একাডেমির সদস্য কবি বোরহান মাসুদ, প্রখ্যাত গীতিকার বিলাল হোসাইন নূরী, দৈনিক বাংলার কণ্ঠের সাহিত্য সম্পাদক কবি মো. মহিউদ্দিন মহিন, কবি এরশাদ সোহেল, কবি আল মুনির, কবি মাসুম শাহ প্রমুখ। এর আগে ১৭ জুন ঈদের রাতে কুনজেরহাট বাজারে সাহিত্য আড্ডার প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক কবি রিপন শান সহ লেখকরা।
আড্ডার আলোচকরা মুক্তবুলি ম্যাগাজিনের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। এবিষয়ে ব্রিফিং করেন প্রকাশক ও সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন। তিনি বলেন- এক সময় বরিশাল শহর থেকে অনেক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হতো। এখন মাঝে মধ্যে দু’একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হলেও ধারাবাহিকতা রক্ষা করে নিয়মিত প্রকাশ শুধুমাত্র ‘মুক্তবুলি’। এটি বরিশাল থেকে প্রকাশিত হলেও সারাদেশে- বিশেষ করে সব বিভাগীয় শহরে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। আযাদ আলাউদ্দীন বলেন- কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোহিতা ছাড়াই একটি সাহিত্য পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করা অনেক কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ।
সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত লেখকরা বলেন- আমরা দীর্ঘদিনের সাহিত্য চর্চার অভিজ্ঞতায় দেখেছি- একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করা খুব সহজ, কিন্তু এটিকে নিয়মিত চালিয়ে রাখা অনেক চ্যালেঞ্জের, সেই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ন হয়েছে মুক্তবুলি। তারা পত্রিকাটির মান আরো উন্নয়নের জন্য বাস্তবমুখী বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন।
সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দীন লেখকদের সব পরামর্শ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং জুলাই মাসের শেষ দিকে বরিশালে অনুষ্ঠিতব্য লেখক সম্মেলনে উপস্থিত অধিকাংশ লেখকের মতামতের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করবেন বলে লেখকদের অবহিত করেন।
দুপুরের ভোজন শেষে দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই গীতিকার বিলাল হোসাইন নূরীর লেখা ও ওবায়দুল্লাহ তারেকের সুর করা মুক্তবুলি থিম সং ইউটিউব চ্যানেল থেকে পরিবেশিত হয়। গানটি শুনে লেখকরা মুগ্ধ হন এবং গীতিকার ও সুরকারকে ধন্যবাদ জানান। এরপর উপস্থিত লেখকরা তাদের স্বরচিত লেখা পাঠ ও পর্যালোচনা করেন।
bdnewseu/21June/ZI/bhola