চরফ্যাশন দর্শনীয় স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঢল। প্রকৃতির এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের পর্যটন নগরী ভোলার চরফ্যাশন তবে এখানেই রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন জ্যাকব ওয়ার্চ টাওয়ার, শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, খামার বাড়ি, মেঘনার কোলঘেষা মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা স্পট বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক, কুকরী মুকরীতে ইকোপার্ক এবং ঢালচরে তারুয়া দ্বীপ।এসব পর্যটন স্পটে এলেই যে কারোর মন জুড়িয়ে যাবে। তাই ঈদ উল আযহার ছুটি উপভোগ করতে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে এসব দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের তীব্র ঢল নেমেছে। একটু বিনোদন পেতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমনপ্রিয় মানুষরা।
জেলা সদর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার। এ উপজেলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বাধুনিক ও সুউচ্চ জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। ১৮ তলা বিশিষ্ট এ টাওয়ারটি দেশের মধ্যে সব চেয়ে উঁচু জ্যাকব টাওয়ারটি ভ্রমণপ্রেমি সহ পর্যটকদের বারবার দৃষ্টিনন্দন নজর কেড়েছে। তাইতো এখানে এলেই মুগ্ধতা পায় বিনোদন ও ভ্রমনপ্রিয় মানুষেরা।
উঁচু টাওয়ারের পাশেই ফ্যাশন স্কয়ার তবে এখানে রয়েছে আরেক দৃষ্টিনন্দন শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক। ঈদ উপলক্ষে এসব স্পটকে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন অপরূপ সাজে। তাই পবিত্র ঈদ উল আযহার ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমনপ্রিয় মানুষদের।
চরফ্যাশন শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মিলবে সৈন্দর্যে ঘেরা প্রকৃতির এক মনোরম পরিবেশ বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক। ছুটির দিন ছাড়াও ঈদের সময় মানুষের সমাগম বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। তার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। পর্যটকদের ভীর নজরুল নগরে অবস্থিত খামার বাড়িতে ও। সেখানে ও ভ্রমন পিপাসুদের ঢল দেখার মতই।
বেতুয়া প্রশান্তি পার্কে দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষের ঢল। কেউ পরিবার আবার কেউ পরিজন আবার কেউ বা প্রিয়জন মানুষটিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছবি তুলেছেন, স্পীডবোট বা নৌকায় ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন অনেকে।
লালমোহন থেকে বেতুয়া প্রশান্তি পার্কে ঘুরতে আসা আব্দুল্লাহ আল জিহাদ সাংবাদিকদের বলেন, পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। এবং অনেক ভালো লাগতেছে। সাহেদা হোসাইন নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, আমি লালমোহন থেকে এসেছি। এসেই আমি অনেক মুগ্ধ। কারন প্রকৃতির নির্মল বাতাস, নদীর উত্তাল ঢেউ আর চারিদিকে সবুজের সমারোহ দেখেই আমার অনেক ভালো লাগতেছে।
এবং খাদিজাতুল কোবরা বলেন, আগে বেতুয়া প্রশান্তি পার্কের বহুবার কথা শুনেছি তবে এখানে আসা হয়নি। ঈদের ছুটিতে এবার প্রথম এসেছি, এবং অনেক টাই ভালো লাগতেছে।
bdnewseu/21June/ZI/sorfeshion