ঝালকাঠিতে কুরবানীর একদিন পূর্বে শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে কুরবানীর পশুর হাট।ঝালকাঠি জেলায় পবিত্র ঈদুল আযহার ১দিন বাকি থাকতে জমে উঠেছে কুরবানীর পশুর হাট। ক্রেতার অপেক্ষায় ১ সপ্তাহ ধরে বেপারীরা কুরবানীর পশুর হাটে গুরু ছাগল জমাতে শুরু করে। জেলায় প্রচলিত ৮৫টি হাট-বাজারের সাথে নতুন করে অনুমোদন নিয়ে অস্থায়ী বড় আকারের আরও ১০টি পশুর হাট বসেছে। কিন্তু গতকাল এবং আজ শনিবার থেকে কুরবানীর জন্য ক্রেতারা পশুর হাটে ভীর জমিয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবারের পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় চাহিদার তুলনায় হাটে ক্রেতার চেয়ে গরুর সংখ্যা বেশি। এখন বর্তমানে কুরবানী দেয়ার জন্য
দুয়েকদিন আগেই পশু কিনে রাখে শহর বা গ্রামাঞ্চলেও লালন পালনের ঝামেলা এড়ানোর জন্যই কুরবানীর দু’একদিন আগে গুরু বেচাকেনা হয়। গত বছরের চেয়ে এবছর কুরবানীর পশুর দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি বলে দাবী করেছে গরুর হাটের বেপারী ও ক্রেতারা। গত বছরের চেয়ে এবছর মানুষের মধ্যে আর্থিক সংকট থাকায় কুরবানীর সংখ্যা কম হবে বলে ধারণা করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ঝালকাঠি জেলায় স্থানীয়ভাবে কুরবানীর পর্যাপ্ত পশু ছোট-বড় খামারে রয়েছে। কিন্তু এই অঞ্চলের বড় বড় হাটগুলিতে বাগেরহাটের চিতলমারী অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত বড় কুরবানীর পশু নিয়ে বেপারীরা হাট ভরে রাখেন । ফলে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন করা কুরবানীর পশুর মূল্য ও আকার আকৃতিতে তাদের কাছে মার খাচ্ছে। অনেকেই হাট থেকে পশু বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঝালকাঠির পশুর হাটগুলোতে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের গরু বিক্রির জন্য রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কুরবানীর পশু স্থানীয়ভাবে চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু সংখ্যা ৩১ হাজার ১১৪টি। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৩০ হাজার ১৯টির এবং উদ্দৃত্ব থাকবে ১ হাজার ৯৫টি। এরমধ্যে সার ২১ হাজার ৭১৫, বলদ ৪ হাজার ২৫৬, গাভী ১ হাজার ৪৮৩, মহিষ ৪৩টি, ছাগল ৩ হাজার ৫৮১ ও ভেড়া ৩৬। জেলায় খামারের সংখ্যা ২ হাজার ৮৪টি। ঝালকাঠি জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের জেলা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন।
bdnewseu/16June/ZI/bhola