ঝালকাঠি জেলায় বরাদ্দের স্বল্পতা নিয়ে খাদ্য সহায়তা বিতরণ শুরু হয়েছে।ঝালকাঠি জেলায় ঘূণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্ন সেক্টরে ১১৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। বন্যা শুরুর সাথে সাথে জেলায় প্রাথমিকভাবে সরকার ২৫ লাখ টাকা, ৩০০ মেট্রিক টন জিআর চাল, শিশু খাদ্য জন্য ১০ লাখ টাকা, গো খাদ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং পরবর্তীতে শিশু খাদ্য জন্য ৫ লাখ টাকা, গো খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা ও ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। জেলায় প্রাপ্ত ৫০ লাখ টাকা ও ৩৯০ মেট্রিক টন চাল জেলার ৪টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় উপবরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় অপ্রতুল এই সহায়তা নিয়ে জেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যশস্য বিতরণ শুরু হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বরাদ্দ সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্থদের সংখ্যা অনুযায়ী বিভাজন করে ৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত খাদ্যশস্য বিতরন করা যাবে মর্মে নীতিমালা দেয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থদের সংখ্যা অনুযায়ী বরাদ্দ খাদ্যশস্যের পরিমাণ কম হওয়ায় ৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ১০ কেজি খাদ্যশস্য কোন পরিবারকে দেয়া সম্ভব হবে ন। ঝালকাঠি পৌরসভায় ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ১৫০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র জেলায় ৩৯ হাজার ৭৩৭টি পাকা, আধাপাকা ও কাচা ঘরবাড়ির আংশিক কিছু অংশ সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য কৃষি, মৎস্য, বনায়নসহ সামগ্রিকভাবে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৭০০ টাকা।
bdnewseu/5June/ZI/Zalokati