ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ২’হাজার বসত ঘরবাড়ি বিপযস্ত, নিহত ৩ ।দ্বীপজেলা ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২ হাজার এর বেসি বসতবাড়ি ঘর নষ্ট হয়েছে। এবং ভোলার লালমোহন ও দৌলতখানে দুই মহিলা এক শিশুসহ তিন জন মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে ভোলার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ ভেঙে উপকূলীয় নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার মানুষ।ভোলার কয়েকটি স্থান গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাঘাট সহ ডুবে গেছে মানুষের বসতভিটা এবং পড়ে আছে গাছ পালা এবং বিদ্যুতের খাম্বা ভেঙে পড়ে আছে বহুদিনের মোটা মোটা গাছ। এতে গাড়ি সংযোগ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষদের।
১০ নং ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সড়কের দুই পাশ দিয়ে রাস্তা ভেঙে গেছে এর ফলে পানি ঢুকা শুরু করছে। এতে সেখান কার হাজার ও পরিবার তাদের বাচ্চা সন্তান সহ গবাদি পশু নিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তবে বহু এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে এতে নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন গ্রাম অঞ্চলের লক্ষধিক মানুষ।
ভোলার তিন নিহতরা হলেন, লালমোহনের চর উমেধ এলাকার ৫০ বছরের মনেজা খাতুন ও দৌলতখানের রাইশা (৩) নামের এক শিশু। অপর দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার চাচরা ইউনিয়নে ঘর চাপায় জাহাঙ্গীর (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
চরফ্যাশনের চর কুকরিমুকরি’সহ নিচু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন বিপযস্ত হয়ে পড়েছে।
টানা ৩৮ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এ ছাড়াও ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ রুটের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
bdnewseu/28May/ZI/bhola