কলেজ ছাত্র মুরাদ হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহ পর ও খুনিরা গ্রেফতার হয়নি।মেরিন ড্রাইভের কিশোর গ্যাং লিডার রফিকুল্লাহ ও আদিল এখনো অধরা।প্রকাশ্য দিবালোকে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে স্হানীয় কামারের দোকানের সদ্য তৈরি করা ধারালো ছুরির আঘাতে হত্যা করা কলেজ ছাত্র মুরাদের দুই হত্যাকারি এক সপ্তাহেও ধরা পড়েনি। গত ৬ মে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।হত্যাকারিদ্বয় মেরিন ড্রাইভ কেন্দ্রিক ভয়াল কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর কিলার। মুরাদ হত্যাকান্ডের প্রধান কিলার হচ্ছে রফিকুল্লাহ। সে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের মৌলভী অলি উল্লাহর পুত্র।
রফিকুল্লাহর ভাই রহিমুল্লাহ হত্যাকান্ড ঘটাতে অন্যতম উসকানিদাতা বলে নিহত মুরাদের পিতা বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ কোম্পানি বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় হত্যাকারি আদিল হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেপটখালী গ্রামের ঝগড়াটে ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত ছৈয়দ আহমদ প্রকাশ জকিরের পুত্র। আদিল মুরাদ কে মারার জন্য যাবার সময় তার বাবাকে জানালে বাবা জকির নাকি একটি কথাই বলেছিল- একদম ফিনিশ করে এসেই বলিস। বাবার সাহসী উসকানিতে পুত্র আদিল আরো দ্বিগুণ মাত্রার জোস নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে খুনোখুনির কাজে।
মেরিন ড্রাইভ কেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং লীডার রফিকুল্লাহ ও আদিল হচ্ছে দুই জনই আপন খালাত ভাই। তাদের নেতৃত্বে উখিয়ার সোনার পাড়া,ইনানী থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভ জুড়ে কিশোর গ্যাংয়ের দখলে। তারা মোটর বাইক চুরি এবং ইয়াবা ও আইসের চালান ছিনতাই করে লাখ লাখ টাকা কামাই করে আসছিল।
নিহত হার্ভার্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মুরাদকে হত্যা করেই তারা থেমে থাকেনি। মুরাদের বড় ভাই কক্সবাজার সরকারি কলেজের ডিগ্রির ছাত্র মামুনকেও তারা কুপিয়েছে। ভাগ্যিস কোপ তার পায়ে পড়ায় সে রক্ষা পেয়েছে।
নিহত মুরাদের বাবা একজন অত্যন্ত সাধারণ জীবন যাপন করা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী এবং মানবিক মানুষ হিসেবে স্থানীয়দের পরিচিত। উল্লেখ্য তিনি স্থানীয় শাপলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন।সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতা সাইফুল্লাহ কোম্পানি জানান, আমার পুত্রের হত্যাকান্ডে ঘটনাস্থলে সরাসরি জড়িত দুই জন এবং অপর দুই জন উসকানি দাতা। তারা চারজন কে আসামি করে টেকনাফ থানায় আমি মামলা করেছি। কিন্তু আজ অবধি একজন খুনিও গ্রেফতার হয়নি। তবে টেকনাফ থানা পুলিশ বলেছে তারা আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আগামিকাল রবিবার শামলাপুর বাজারে হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে স্হানীয়দের মানববন্ধন কর্মসূচি রয়েছে বলে জানা গেছে।
bdnewseu/12May/ZI/Spur