• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ভিয়েনা ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে প্রস্তুত – চ্যান্সেলর কার্ল সমুদ্রে উদ্ধার কাজ অনিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করে না: ফ্রন্টেক্স প্রধান ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর কমিটি গঠন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা দেশজুড়ে ছাত্র- জনতার ‘শহীদী মার্চ’ ভোলায় র‍্যালি নারী ও শিশুসহ আটককৃত নিরাপরাধ “বম” দের মুক্তি দাবি দেশের ৫৫ নাগরিকের সেনা নিরাপত্তায় গাজীপুরে পোশাক কারখানা চালু দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ বাকী চার কমিশনারের পদত্যাগ দেশের বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছে জাপান বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন বৃটিশ হাইকমিশনার বৈষম্য বিরোধী ও ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৮০০ শহীদের নাম পাওয়া গেছে
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

মার্কিন নার্সকে ৭৬০ বছর কারাদণ্ড ১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে

বিডিনিউজ ইউরোপ ইন্টারন্যাশনাল ডেক্স
আপডেট : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

মার্কিন নার্সকে ৭৬০ বছর কারাদণ্ড ১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন এক নার্সকে ৭৬০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত বেশি মাত্রায় ইনসুলিনের ডোজ প্রয়োগ করে ১৭ জন রোগীকে হত্যার দায়ে। খবর এনডিটিভির।২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন বছরে অঙ্গরাজ্যের ৫টি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন হেদার প্রেসডি (৪১) নামের ওই সেবিকা।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, তিন বছরে মোট ২২ জন রোগীকে ইনসুলিনের ইঞ্জেকশন দেন হেদার প্রেসডি।
যাদের সবার বয়স ৪৩ বছর থেকে ১০৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। যদিও যাদেরকে এই ইঞ্জেকশন দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে এমনও রোগী ছিলেন, যাদের ডায়াবেটিস ছিলো না।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, ইঞ্জেকশন দেয়ার জন্য রাতের বেলার শিফটকে বেছে নিতেন হেদার। মূলত দেহে অতিমাত্রায় ইনসুলিন প্রবেশ করানো হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার মাত্রা শূন্যের কাছাকাছি নেমে যাওয়া) নামের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় রোগী শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল বোধ করেন। পাশাপাশি হৃৎস্পন্দনও বেড়ে যায়। ওই পরিস্থিতিতে যদি অতি দ্রুত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য বা তরল গ্রহণ না করেন, তাহলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা তৈরি হয়।

গত বছর মার্চের দিকে পেনসিলভেনিয়ার এক হাসপাতালে দুই রোগীর পর পর মৃত্যুর ঘটনায় ওই নার্সের ওপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তখন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অবহিত করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই তদন্তের এক পর্যায়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মে মাসে হেদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার শুরুর প্রথম দিন বাদিপক্ষের আইনজীবী হেদারকে যখন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি নিজেকে দোষী দাবি করছেন, না নির্দোষ?’ জবাবে হেদার বলেন, ‘আমি দোষী। ’ তখন কেন তিনি নিজেকে দোষী দাবি করছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি দোষ করেছি। তাই আমি দোষী। ’বিচার চলাকালে বাদিপক্ষের এক সাক্ষী হেদারের সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি অসুস্থ নন, উন্মাদও নন; তবে অশুভ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যে রাতে তিনি আমার বাবাকে খুন করেছেন, তার পরদিন সকালে তার মুখে আমি শয়তানের ছায়া দেখেছি। ’

অভিযোগ প্রমাণের পরপরই হেদারের নার্সিং লাইসেন্স বাতিল করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়ার কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে কাজ করেছেন হেদার।
source-খবর এনডিটিভির।

bdnewseu/4May/ZI/usa


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ