দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিও জিতে ব্যবধান ২-০ করার লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।বোলিংসহ তিন বিভাগেই দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। মূলত প্রথম ম্যাচে একক প্রাধান্য দেখিয়ে ম্যাচ জেতে স্বাগতিকরা।পেসার শরিফুল ৪ ওভার বোলিং করে ৩৭ রান দিয়ে যদিও ছিলেন উইকেটশুন্য। তবে অপর দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশের কোন সমস্যা হয়নি। রান দিতে দারুন কার্পন্য দেখিয়ে তাসকিন- সাইফুদ্দিন উভয়েই তিনটি করে উইকেট নেন।
পেসারদের সাথে দুই স্পিনার মাহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া তারজিদ হাসান তামিমের ৪৭ বলে অপরাজিত ৬৭ রানে ১৫ দশমিক ২ ওভারেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলে সহজেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে দলীয় ৪১ রানে ৭ উইকেটে পরিনত হয় জিম্বাবুয়ে।কিন্তু অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটরক্ষক ক্লাইভ মানদান্দে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১৮তম ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ১শতে নিয়ে যান তারা। ১৯তম আউট হওয়ার আগে ৬টি চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন মানদান্দে। অষ্টম উইকেটে ৬৫ বলে ৭৫ রান যোগ করেন মানদান্দে ও মাসাকাদজা। টি-টোয়েন্টি ভার্সনে বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
মূলত তাদের জুটির কল্যাণেই এর আগে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের সর্ব নিম্ন ৮০ রানের কোটা পার করে জিম্বাবুয়ে। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া একটি দলের অষ্টম উইকেট জুটিতে ৭৫ রান যোগ করা অবশ্যই টাইগারদের জন্য একটা দুঃশ্চিন্তার বিষয়।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যদিও ম্যাচ জিতে খুশি এবং আগামী ম্যাচগুলোতেও পারফরমেন্সের ধারা অব্যাহত রাখতে চান।শান্ত বলেন,‘গত দুই দিন সত্যিই আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। তানজিদের ব্যাটিংয়ের ধরন দলের জন্য সহায়ক হয়েছে এবং আশা করছি সে এই ফর্ম অব্যাহত রাখবে।’‘তাওহিদ হৃদয়ও ভাল করেছে এবং এমন উইকেটে নিজেকে প্রমান করেছেন। বিশেষ করে ইনিংস শেষ করে আসায় তানজিদের ওপর আমি দারুন খুশি।’সংক্ষিপ্ত ভার্সনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১ ম্যাচে এটা ছিল বাংলাদেশের ১৪তম জয়। বাকি সাত ম্যাচে পুর্ব আফ্রিকার দেশটির কাছে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরতে মরিয়া জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা অবশ্য নিজ দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের ঘূড়ে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
source-Inqilab
bdnewseu/4May/ZI/Sports