উত্তর আফ্রিকার দেশ টিউনিশিয়ার জেরবা দ্বীপের উপকূল থেকে ১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এর মধ্য দিয়ে গত কয়েকদিনে টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের সংখ্যা বেড়ে হলো ৩৬৷দেশটির বিচার বিভাগীয় এক কর্মকর্তা বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন৷ তার আগে টিউনিশিয়ার কোস্টগার্ড দেশটির স্ফ্যাক্স উপকূল থেকে অন্তত ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে৷ পৃথক আরেকটি অভিযানে দেশটির গাবেস উপকূল থেকে আরো সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷শনিবার থেকে বুধবারের মধ্যে ভিন্ন অভিযানে এসব মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়৷
নিহতদের বেশিরভাগই সাব-সাহারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে ধারণা টিউনিশিয়া কর্তৃপক্ষের৷
এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একটি নৌকায় নাকি বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিলেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি৷ এমনকি তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কেও এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ৷
এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উত্তর আফ্রিকার দেশ টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকেন৷ তারই ধারাবাহিকতায় মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে টিউনিশিয়া৷ গত সপ্তাহে টিউনিশিয়া সরকার জানায়, মানবপাচারের সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ৷তাছাড়া টিউনিশিয়ার ন্যশনাল গার্ডের সদস্যরাও ঝুঁকিপূর্ণ এমন সমুদ্রযাত্রা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে৷
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি সাগর পাড়ি দিয়ে ইটালির দ্বীপ লাম্পেদুসার দিকে যাত্রাকালে দুই হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা৷তবে সরকারের এমন চেষ্টার পরও থেমে নেই ঝুঁকিপূর্ণ সাগর যাত্রা৷ চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে টিউনিশিয়ার উপকুল থেকে যাত্রা করে ২১ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইটালি পৌঁছেছেন৷
বিডিনিউজইউরোপ/২৫এপ্রিল/জই(রয়টার্স,এএফপি)dw