দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্লুকোজ লেভেল নিয়মিত মনিটরিং করে তাকে তার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে একটি আবেদনের শুনানি করছিল দিল্লির একটি আদালত। কারণ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযোগ, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে ইচ্ছা করেই চায়ের সঙ্গে আম, মিষ্টি ও চিনি খাচ্ছেন তিনি।হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কেজরিওয়ালের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামা করছে এবং তাকে তার ডাক্তারের সঙ্গে এ নিয়ে পরামর্শ করতে হবে।আবেদনে কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন, তাকে সপ্তাহে তিনবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
আবেদনের বিরোধিতা করে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) জোহেব হোসেন বলেন, ‘যে ব্যক্তি উচ্চ ডায়াবেটিস আছে বলে দাবি করছেন তিনি আম খাচ্ছেন, নিয়মিত মিষ্টি খাচ্ছেন আবার চিনি দিয়ে চা খাচ্ছেন। এসবই জামিন চাওয়ার বাহানা।’
তার মতে, ইচ্ছা করেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামার বাহানা দিয়ে জামিন পাওয়ার ধান্ধা করছেন কেজরিওয়াল।
তার আইনজীবী বিবেক জৈন এজেন্সির দাখিলে আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, ইডির কৌঁসুলিরা পাবলিককে বুঝানোর জন্য মিডিয়াতে বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। কেজরিওয়াল আবেদনটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন এবং আরও ভালো আবেদন দায়ের করবেন।
আদালত কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কেজরিওয়ালের ডায়েটের একটি মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছে।
আবগারি নীতির সঙ্গে জড়িত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় ইডির কাছে গ্রেপ্তার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এখন তিহার জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ট্রায়াল কোর্ট তার বিচার বিভাগীয় হেফাজত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের একটি আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। তিনি এই রিমান্ডকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
ইতোমধ্যে, কেজরিওয়ালকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিধানসভার সদস্য এবং মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার অনুমতি দিয়ে দিল্লিতে দক্ষ শাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কারা মহাপরিচালককে নির্দেশনা চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) পাঠানো হয়েছে।
আবেদনটি দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করার সঙ্গে সম্পর্কিত কথিত বিভ্রান্তিকর, চাঞ্চল্যকর শিরোনাম সম্প্রচার করা থেকে মিডিয়াকে বিরত রাখতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
bdnewseu/19April/ZI/India