ইউরোপ সফরে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্তকরণ (কনভিকশন) কার্যকর থাকায় দেশের বাইরে গেলে তাঁকে সংশ্লিষ্ট আদাল তকে অবহিত করার নির্দেশনা আছে আদাল তের। আদালতকে অবহিত করেই তিনি বিদেশে গেছেন বলে নিশ্চিত করেন তাঁর আইনজীবী। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ফেসবুেক পোস্টে বলা হয়েছে- ‘ড. ইউনূস ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন। ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ প্রফেসর ইউনূসকে তাঁর অফিসে আমন্ত্রণ জানান। বিশ্বব্যাপী তাঁর (ড. ইউনূস) কাজের হালনা গাদ তথ্য এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। প্রফেসর ইউনূস দৃঢ় সমর্থনের জন্য ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদকে ধন্যবাদ জানান।’
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অলিম্পিক উদ্বোধনসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ মার্চ বিদেশে গেছ্নে। মিউনিখে অলিম্পিক উদ্বোধন করবেন তিনি।
এরপর সেখান থেকে আরও কয়েকটি দেশে যাবেন। ফ্রান্সে একটি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে যোগ দেবেন। সেখানে ২০ জন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন। জাতিসংঘের সাবেক একজন মহাসচিব এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় নেতারা থাকবেন।
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কিছু কর্মসূচি উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো- তিনি বুধবার প্যারিস থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে জাপানের একটি হাই স্কুল আয়োজিত নলেজ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। আগের দিন মঙ্গলবার ইতালির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি অনুষ্ঠানে শ্রোতা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক ব্যবসা এবং খেলাধুলার যোগসূত্রের কথা তুলে ধরেন।
একই দিন লোম্বার্ডিয়া আঞ্চলিক সরকারের গভর্নর ড. অ্যাটিলিও ফন্টানা তাঁর অফিসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান। এ বৈঠকে গভর্নর ড. অ্যাটিলিও ফন্টানা ড. ইউনূসকে অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানান উন্নত বিশ্ব তৈরিতে তাঁর অবদানের জন্য। তিনি অধ্যাপক ইউনূসের মতো একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়া ইতালীয় সুপারস্টার ফেডেজ তিন শূন্যের বিশ্ব গড়ার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।
অন্যদিকে আজারবাইজানের #GlobalBakuForum অংশ নেন। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস, নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, ফোর্টফাই রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ম্যাথিউ স্মিথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ ১০০টিরও বেশি দেশের নেতারা যুদ্ধাপরাধের জন্য #দায়মুক্তির শাস্তি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিধিনিষেধ এবং #LGBTQ+ অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ১ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে মানবতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের জন্য কীভাবে সামাজিক ব্যবসার নীতিগুলো বাজারের শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে সে সম্পর্কে দ্রুত-মূলধারার ওই সংলাপের তিনি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানা গেছে। ওই দিন তাঁর দেশে ফেরার কথা।
আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১ এপ্রিল দেশে ফিরবেন ড. ইউনূস। পরের দিন অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দেবেন তিনি।
bdnewseu/22March/ZI/Yunos