ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে দুই দিনে ৭০০ অভিবাসী।ফরাসি উপকূল থেকে দুই দিনে ৭২৮ জন অনিয়মিত অভিবাসী ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।বুধবার (৬ মার্চ) ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানিয়েছে, সোমবার(৪ মার্চ)সাতটি ছোট নৌকায় মোট ৪০১ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইংল্যান্ডের ডোভার উপকূলে এসে পৌঁছেছেন। এটি চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
একই দিন সন্ধ্যায় উত্তর ফ্রান্সের গ্রাভলিন উপকূল থেকে ঝুঁকিতে পড়া মোট ৬৩ জন অভিবাসীকে উপকূলে ফিরিয়ে আনার তথ্য দিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। চার্টার উদ্ধার জাহাজ মিঙ্কের সহায়তায় অভিবাসীদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা।অপরদিকে, ৩ মার্চ আটটি নৌকায় আরো ৩২৭ জন অভিবাসী ব্রিটিশ উপকূলে পৌঁছান। তাদেরকেও ইংলিশ জলসীমা থেকে উদ্ধার করে ডোভার বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
একই দিনে, ফরাসি কর্তৃপক্ষ তাদের উপকূলের কাছাকাছি দুর্দশায় পড়া ৭৮ জন অভিবাসীকে অভিযান চালিয়ে জীবিত উদ্ধার করে। ব্রিটিশ হোম অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের শুরু থেকে দুই হাজার ৯৮৩ জন অনিয়মিত অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।
অনেক অভিবাসী সফলভাবে ব্রিটেনে পৌঁছাতে পারলেও থেমে নেই এই রুটে মৃত্যুর মিছিল। সবশেষ রোববার উত্তর ফ্রান্সের ভাতেন উপকূলে একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ফরাসি প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এ ঘটনায় সাত বছর বয়সি এক শিশু নিহত হয়েছে এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
চ্যানেল ও উত্তর ফ্রান্স সংশ্লিষ্ট ফরাসি প্রেফেকচুর জানিয়েছে, “নৌকাটিতে এত অভিবাসী নেয়ার মতো জায়গা ছিল না। যাত্রার কিছুক্ষণ পর উপকূল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে নৌকাটি ডুবে গিয়েছিল।”
ডানকের্ক পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মতে, সাত থেকে তেরো বছর বয়সি দশটি শিশুসহ মোট ১৬ জন অভিবাসী নৌকাটিতে চড়েছিলেন। নিহতের বাবামা এবং তাদের অন্য তিন সন্তানও নৌকায় ছিলেন।
এ নিয়ে চলতি বছরে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে গিয়ে মারা যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা তিনজন-এ দাঁড়াল।
কয়েক বছর ধরে ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য অনিয়মিত চ্যানেল পারপার প্রতিরোধে ব্যবস্থা বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে দুই দেশে একটি বিশেষ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
bdnewseu/7March/ZI/UK