ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসের নিকটে রাশিয়াররকেট
হামলা।দক্ষিণ ইউক্রেন সফররত গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সংবাদ সম্মেলনের মাত্র১৫০ মিটার দূরত্বে আঘাত হানে রকেটটি।বুধবার (৬ মার্চ) ইউক্রেনের বন্দর নগরী ওডেসায় বোমা হামলা চালায় রাশিয়া। রাশিয়ার এই আক্রমণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস।ইউক্রেন সরকারের এক প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়া জেলেনস্কি এবং মিৎসোটাকিসের মধ্যে একটি বৈঠকের সময় দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহরটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে দুই রাজনীতিবিদ ভালো আছেন।
তবে সেখানে রকেটের আঘাতে অনেক হতাহতের ঘটনা
ঘটেছে বলে ইউক্রেন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। তাছাড়াও ইউক্রেনের স্থানীয় একটি
সম্প্রচার কেন্দ্রে এক সাক্ষাতকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই রকেট আক্রমণের কথা জানিয়েছেন। এদিকে রাশিয়ার রকেটটি প্রতিনিধিদল থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে আঘাত হানে বলে গ্রীক কর্মকর্তারা প্রোটোথেমা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন।
রকেট হামলার সময় রাজনীতিবিদরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেননি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সফররত গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিসকে বলেন, “আমরা আজ রাশিয়ার আক্রমণের প্রভাব দেখেছি। আপনি দেখুন রাশিয়া আমাদের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করছে। তারা কোথায় গুলি করে তাতে তারা মোটেও পরোয়া করে না।”
ইউক্রেন সফররত গ্রীক সরকার প্রধান তার এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা দ্বারা হতবাক। তিনি বন্দর পরিদর্শনের সময় সাইরেন এবং কাছাকাছি পর পর বিস্ফোরণের শব্দে
হতবিহবল হয়ে পড়েন।
ইউক্রেনীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ওডেসায় সাংবাদিকদের মিৎসোটাকিস বলেন, “আমরা আশ্রয়ে যেতে পারিনি।” জেলেনস্কি পূর্বে তাকে বন্দর সুবিধা এবং পূর্ববর্তী হামলার ফলাফল দেখিয়েছেন।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্টের নিন্দা:
ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লেয়েন রাশিয়ার এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
তিনি তার এই নিন্দা “সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালো ভাষায়” ব্যক্ত করেছেন। ইউক্রেনের সরকার ও সংবাদ মাধ্যম গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেনে অবস্থান সম্পর্কে
আর কোনও সংবাদ প্রকাশ করে নাই।
bdnewseu/7March/ZI/politics