ভয়াবহতম ট্রেন দুর্ঘটনার বছর পূর্তিতে এথেন্সে সহিংস প্রতিবাদ।প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসের ইতিহাসে ভয়াবহতম ট্রেন দুর্ঘটনার এক বছর পূর্তি তে বুধবার বিক্ষোভে উত্তাল ছিল এথেন্সের রাজপথ।
এক বছর আগের কথা:
২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল এতে ৫৭ জন মারা যান ।এই ৫৭ জনের মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ইদ্রিস ও ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী ,ছুটি কাটিয়ে ফিরছিলেন তারা সেই ঘটনার এক বছর পূর্তিতে নিহতদের স্মরণে বিক্ষোভ করল এথেন্স সহ সমগ্র গ্রিস।
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ:
ঘটনার বছর পূর্তিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও রেল কর্মচারীরা তারা ঘটনার বিচার চান এবং রেল কর্মচারীরা তাদের বেতন বৃদ্ধি চান।
এথেন্সে সকল যান চলাচল ব্যাহত:
বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন ও ছাত্রছাত্রীরা দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় ।ফলে রাজধানী এথেন্সের সঙ্গে রেল ও সকল বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এই সময় রাত-দিন উভয় ক্ষেত্রে যান চলাচল বন্ধ ছিল ।পর্যটন শিল্পের দেশ হওয়াতে বিমানবন্দরে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে সকল যাত্রীদের জন্য সেই দিনটি দারুন দুর্ভোগের ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ:
শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংসতা মুক্ত হওয়ার জন্য গ্রিক সরকারের পক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা ছিল এবং আকাশে উড্ডয়নরত অবস্থায় ছিল সশস্ত্র হেলিকপ্টার। সার্বক্ষণিক দূরবীনের সাহায্যে দুর্ঘটনা মুক্ত রাখার জন্য সকল প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলেও সন্ধ্যা সাতটার দিকে সকল সময়ের ন্যায় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ব্যাপক আকারে ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের এখনো ভয় কাটেনি:
দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া দের কেউ কেউ বলেন এখনো ট্রেনে চড়তে ভয় করে ।রেল বিভাগও এখনো আগের মত কর্মী পাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
আস্থা কমে গেছে গ্রিকদের:
দেশের রেল যোগাযোগের উপর গ্রিক জনগণের আস্থা কমে গেছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। পরিবহন মন্ত্রণালয় অবশ্যই বলছে তারা পুরো রেল যোগাযোগ সিস্টেমকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে।
ভিক্ষোভ শুধু এথেন্সে সীমাবদ্ধ ছিল না:
বিক্ষোভ শুধু এথেন্সে নয়, ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র গ্রিসে জনরোষ শুধু রেল যোগাযোগের উপর নয় এক দশক ধরে চলা অর্থনৈতিক সংকট ও জনসেবা নিচ্ছিতে সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধেও গ্রিসের মানুষ আওয়াজ তোলেছে।
বিচার এখনো হয়নি:
গত বছর দুর্ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর শুধু একজন স্টেশন মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু ঘটনার বিচার এখনো শুরু হয়নি এক বছর পরেও ।তবে সরকার বলছে আগামী জুন মাসে শুনানি শুরু হবে কিন্তু ভিক্ষোভ কারীদের মধ্যে বলতে শুনা গেছে সরকারের এই ঘোষণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রাজনীতিবিদদের রক্ষায় গ্রিসের আইন:
গ্রিক জনগণের ক্ষোভের অন্যতম কারণ হচ্ছে গ্রিসের আইন রাজনীতিবিদদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে না শুধু সংসদ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে।
bdnewseu/1March/ZI/Athens