• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় পাঠক আমাদের সাইটে আপনাকে স্বাগতম এই সাইটি নতুন ভাবে করা হয়েছে। তাই ১৫ই অক্টোবর ২০২০ সাল এর আগের নিউজ গুলো দেখতে ভিজিট করুন : old.bdnewseu24.com

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আমাদের সমাজ

অনলাইন ডেস্ক থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আমাদের সমাজ।
ড. কামরুল হাসান মামুন: কখনো কখনো নিজেদের ইমিউন সিস্টেমই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে যায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটাই ঘটছে। তার নিজের তৈরি গ্রামীণ ব্যাংক এখন তারই সহোদরদের বড় শত্রু হয়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর তার প্রণীত সামাজিক ব্যবসা পরিচালনার জন্য নতুন ভবন তৈরি করে সেখানে বেশ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন যার সবগুলোর চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনূস নিজে। এখন শুনি তারই প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক তার সহোদর সামাজিক ব্যবসা দখল করে নিয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি আমরা কতটা হিংসা কাতর জাতি, আমরা কতটা নোংরা মনের জাতি। যিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত তিনি তার নিজ দেশে ৭৮ বছর বয়সে নিয়মিতভাবে অপমানিত আর নিগৃহীত হচ্ছেন।

উন্নত বিশ্বে কেউ যদি অসাধারণ ভালো কিছু করেন বা নোবেল পুরস্কার পান তাকে কেউ অবসরে পাঠান না বরং তাকে কোনো না কোনো অলংকারে পদ পদবি দিয়ে তাকে প্রতিষ্ঠানে রেখে দেয়। আর সেটা যদি নিজের তৈরি সন্তানতম প্রতিষ্ঠান হয় সেই ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি প্রযোজ্য কারণ গ্রামীণ ব্যাংককে অধ্যাপক ইউনূসের চেয়ে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারে না। মাইক্রোক্রেডিটের পর এখন তিনি সামাজিক ব্যবসা নামক নতুন একটি আইডিয়া চালু করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি এখন পড়ানো হয়, গবেষণা হয়। হয়তো তিনি দ্বিতীয়বার আরেকটি নোবেল পুরস্কার পাবেন। আর দেখুন আমরা তার সাথে কেমন আচরণ করছি। মামলার পর মামলা দিয়ে তাকে হেনস্থা করছি। যিনি দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারতো করেনই না উল্টো বিদেশ থেকে অর্থ আনেন। এটাই কি তার পুরস্কার? আর এদিকে যারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছে তাদের আমরা জামাই আদরে রাখি। সত্যি সেলুকাস। কী বিচিত্র এই বাংলাদেশ।

স্টিভেন ওয়েইনবার্গ, যিনি ১৯৭৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানের জন্য নোবেল পুরস্কার পান তাকে যখন তার অবসরের পর ইউনিভার্সিটি টেক্সাস নিয়োগের জন্য প্রস্তাব দেয় তখন তিনি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘তোমরা তোমাদের ফুটবল কোচকে কতো বেতন দাও? তার থেকে এক পয়সা কম দিলেও আমি তোমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করবো না।’ পৃথিবীতে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি বেতনধারী অধ্যাপক যার বার্ষিক বেতন ছিল ৫৭৪০০০ ডলার। এভাবেই একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে তারা সম্মান জানিয়েছিল। এই জন্যই সেখানে গুণী মানুষ জন্মায়।

লেখক : ড. কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

bdnewseu/17february/ZI/Politics


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ