রাজধানীর সায়দাবাদের গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কয়েকটি পরিবার মরদেহ শনাক্ত করেছে বলেও জানানো হয়েছে। রাত ১১টা ৬ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকেই প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের এই ট্রেনটি বেনাপোল থেকে পদ্মা ব্রিজ হয়ে কমলাপুরের দিকে যাচ্ছিল। গোপীবাগে এসে চলন্ত ট্রেনেই আগুন লাগে। পরে ট্রেনটি সেখানেই থামায় চালক।তিনি বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি লাশ পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেছে। এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দুর্বৃত্তদের কাজ হতে পারে। আবার শট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে। তদন্ত করে আগুন লাগার আসল কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে ৩টি বগিতে আগুন লাগে। পরে আরও একটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এ ঘটনায় সামান্য যারা দগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার পর ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁও ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আরও ইউনিট বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি ফায়ার স্টেশনে জরুরি সংবাদ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিজিবি ও র্যাবের একাধিক দল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছেন। ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। সেই সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্কাউটের সদস্যরাও।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘটনায় প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতে ট্রেনের একটি বগিতে এক যাত্রীর মরদেহ দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ট্রেনটিতে যাত্রীদের ভিড় ছিল। চলতি ট্রেনেই আগুন লাগে। পরে ট্রেনটি থামলে যাত্রীরা দ্রুত নামার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এক ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে ট্রেনের মধ্যে আটকে পড়ে। অনেক চেষ্টা করেও তিনি বের হতে পারেননি বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
bdnewseu/5thJanuary/ZI/Dhaka