৭জানুয়ারি আওয়ামী লীগ আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে আগামী। ‘৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জিসপ)-এর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। মানুষকে জিম্মি করে ভোটকেন্দ্রে আনার অপচেষ্টা বাদ দিতে আওয়ামী লীগকে আহ্বানও জানান তিনি।খোকন বলেন, জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে চায়, তারা ক্ষমতায় থাকবে। যদি না চায় তাহলে চলে যেতে হবে। জোর করে যদি কোনো নির্বাচন করে তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হবে। চলমান আন্দোলনের কারণে ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো উৎসাহ নেই। আন্দোলন চলছে আগামীতেও চলবে।

এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা খেয়াল রাখবেন ডিসি-ইউএনওদের বলে দেবেন, কোথাও যেন ভোটারদের জোর জবরদস্তি করে আওয়ামী লীগের নেতারা ভোট দিতে না নিয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনকে আরও বলব আপনারা গরিব মানুষদের আশ্বাস দেন, আপনার পুলিশ আনসার বাহিনী কাউকে ডিস্টার্ব করবে না।

মানুষের যেমন ভোট দেওয়ার অধিকার আছে তেমন বর্জন করারও অধিকার আছে। কাউকে আপনারা বাধ্য করবেন না। বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান চলমান এ আন্দোলন কোনো দলের একক আন্দোলন নয়। এটা জনগণের আন্দোলন। ১৫ বছর ধরে কোনো মানুষের ভোটাধিকার নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কথা অনুযায়ী ৯৬ নির্বাচন ছিল ষড়যন্ত্রমূলক। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে আপনারা নির্বাচন করেছিলেন। এরপর এটাকে অবৈধ ঘোষণা করলেন। ৯৬ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত আপনারা দেশে কোনো নির্বাচনই করেননি। ১৪ সালের নির্বাচন করেছেন বিনা ভোটে। ১৮ সালে করেছেন রাতের ভোটে। ২৪ সালের নির্বাচনে আবার ষড়যন্ত্র করছেন।

গণতন্ত্রের জন্যই দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছে। আর সেই গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। বিগত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে লুটপাট করেছে আওয়ামী লীগ। এ সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের হলফনামা দেখলেই বোঝা যায়, তারা কী পরিমাণ লুট করেছে। এর বাইরে যারা ইলেকশন করেন নাই, তাদের কাছে যে কত লক্ষ হাজার কোটি টাকা আছে তা সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুদকের কোনো দাঁত নেই। তারা শুধু বিরোধীদের সাজা দিতে জানে। তারা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াসহ বিএনপির নেতাদেরকেই চেনে।

bdnewseu/31thDecember/ZI/bdelection