সারাদেশের ৫ আসনে উম্মোক্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত।সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কে ২৬ টি এবং অন্যান্য শরীক দলকে ৬ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ। ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা লড়েবেন ২৬৩টি আসনে।কক্সবাজার ১ আসন তথা চকরিয়া-পেকুয়াসহ ৫ টি আসন উন্মুক্ত রেখেছেআওয়ামী লীগ।জানা গেছে, দ্বৈত্ব নাগরিকত্ব, ঋণ খেলাপিসহ বিভিন্ন কারণে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় এই পাঁচটি আসন উন্মুক্ত রেখেছে দলটি।
আসনগুলো হলো কক্সবাজার-১, ময়মনসিংহ-৯, কিশোরগঞ্জ-৩, বরিশাল-৪ এবং ফরিদপুর-৩। এসব আসনে যথাক্রমে মনোনয়ন পেয়েছিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ, আব্দুস সালাম, এনামুল হক, শাম্মী আহমেদ ও শামীম হক।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, জাতীয় পার্টি ওশরিকদের জন্য ৩২টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মিত্রদের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করছি আমরা। যাচাই-বাছাই শেষে আমাদের নিজেদের পাঁচটি আসনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সেসব আসন আমাদের দিক থেকে উন্মুক্ত থাকবে।
এদিকে চকরিয়া- পেকুয়ায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে চলছিলো নানান জল্পনা কল্পনা। তবে উন্মুক্ত রাখা মানে এসব আসনে আওয়ামীলীগের কোনো প্রার্থী থাকছে না। ১৮ ডিসেম্বর প্রতিক বরাদ্দের শেষ দিন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের শক্ত কোনো প্রতিন্দ্বন্দ্বি নেই, যদিওবা কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনি এখানে অপরিচিত এবং বাইরের মানুষ তাই ভোটের রাজনীতিতে তিনি পেরে উঠবেন না বলছেন এ আসনের ভোটাররা। উন্মুক্ত করে দেয়ায় জাফর আলমের জন্যে বিষয়টি সহজ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেরই।
bdnewseu/17thDecember/ZI/Politics