সোনার বাংলাদেশকে প্রকৃত উন্নয়নের মহাসড়কের দিকে এগিয়ে নিতে হলে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে দেশের সকলের সম্মিলিত উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে।তেমনি এক উপলব্ধির জায়গা থেকে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ আলেম সমাজের এগিয়ে আসার যে বিশাল প্রয়োজন সেটি উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র লীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু জিএস গোলাম রাব্বানী। তিনি তার ভেরিফাইড পেইজের লিখাটি আপনাদের জন্য তোলে ধরা হলোঃ
“পরম শ্রদ্ধেয় দেশবরেণ্য আলেম, ওলামা, মাওলানাগণ…
পবিত্র কোরআন-হাদিসে মূর্তি কিংবা ভাষ্কর্য ইস্যুতে যা কিছুই উল্লেখ্য রয়েছে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি রয়েছে অনিয়ম, ঘুষ, চুরি ও দুর্নীতি নিয়ে!
মূর্তি, ভাষ্কর্য স্থাপন বা অপসারণে দেশ ও মানুষের বিশেষ কোন ক্ষতি না হলেও লাগামহীন দুর্নীতি, ঘুষ, অনিয়মে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত।
নিরাপত্তা, সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও অন্যান্য সেবাখাতে নিয়োজিত বৃহৎ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আজ টপ টু বটম দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম নিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট-দুর্দশা-হতাশা-ক্ষোভের অন্ত নেই!
ইসলাম সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকলেও এটা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, ভাষ্কর্য-মূর্তি নিয়ে আপনাদের জ্বালাময়ী বক্তব্যে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সঃ) যতটা না সন্তুষ্ট হবেন, তার চেয়ে লাখো-কোটি গুণ অধিক সন্তুষ্ট হবেন, যদি আপনারা সম্মিলিতভাবে দেশের স্বার্থে, যেকোনো পর্যায়ে সকল ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোরআন-হাদিসের আলোকে বক্তব্য দেন, উচ্চকণ্ঠ আওয়াজ তোলেন, রাজপথে আন্দোলনে নামেন। মুসলমান হিসেবে এটা ঈমানী দায়িত্বও বটে।
বারবার জাতির পতাকা খামচে ধরতে চাওয়া সেই চিহ্নিত পুরনো শকুনের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক উষ্কানিতে পা না দিয়ে, দেশ ও মানুষের কল্যাণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করুন, কথা দিচ্ছি তরুণ সমাজের একজন প্রতিনিধি হিসেবে রাজপথে আপনাদের পিছনে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায়ের পাশে থাকবো, যেকোনো পরিস্থিতিতে।”
গোলাম রাব্বানীর বক্তব্য থেকে যেটি পরিষ্কার সেটি হলো বাংলাদেশের আলেম ওলামা মাশায়েখগণ দূর্ণীতির মত দেশের মহা দূর্যোগ নিয়ে সর্বত্র সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হলে দেশ হবে শান্তির নীড়।আসুন সকলে মিলে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
বিডিনিউজ ইউরোপ /৬ ডিসেম্বর / জই