ব্রিটিশ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক পদত্যাগ করেছেন।রুয়ান্ডায় অভিবাসী পাঠানোর নীতিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের জেরে বুধবার পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক। অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে সরকারের রুয়ান্ডা নীতি অপর্যাপ্ত বলে মনে করেন তিনি।বুধবার(৬ আগস্ট) বৃটিশ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বৃটেনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় একটি চিঠিতে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করেন । তার মতে, শুধুমাত্র রুয়ান্ডা নীতি দিয়ে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকানো যাবে না। বেশ কিছু কট্টর রক্ষণশীলদের মতো তিনিও আশা করছিলেন, ব্রিটেন মানবাধিকার সম্পর্কিত ইউরোপীয় কনভেনশন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবে। তবে এমন কোন পদক্ষেপ না নিয়ে সরকার নতুন করে রুয়ান্ডার সাথে চুক্তি সই করলে এর প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রিসভা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ঋষি সুনাককে উদ্দেশ্যে লেখা পদত্যাগপত্রে রবার্ট জেনরিক বলেন, ‘‘আমি অভিবাসন নিয়ে সরকারের নির্দেশনার সাথে একমত না হওয়ায় মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি।’’ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দীর্ঘদিনের এই রাজনৈতিক মিত্র তার এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) লিখেন, “আমি বিশ্বাস করি অভিবাসন নিয়ে বর্তমান প্রকল্প বেশিদূর এগোবে না।”
পদত্যাগ করা এই মন্ত্রীর মতে, ব্রিটেনের উচিৎ মানবাধিকার সম্পর্কিত ইউরোপীয় কনভেনশন থেকে বের হয়ে যাওয়া। কিন্তু সরকার সেটি না করে রুয়ান্ডার সাথে আবারও একটি চুক্তি সই করা। রবার্ট জেনরিকের প্রস্থানের ফলে নতুন আইন নিয়ে ভোটাভুটির সময় ক্ষমতাসীন দলে বিরোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও সঠিক পরিস্থিতি এখনও পরিষ্কার নয়।
তবে রুয়ান্ডার সাথে হওয়া নতুন চুক্তিটি পাস করতে না পারলে রাজনৈতিক জটিলতায় পড়তে পারেন ঋষি সুনাক। কারণ যুক্তরাজ্যের আগামী নির্বাচনের বাকি এক বছরেরও কম সময়। দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি অনিয়মিত অভিবাসন হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী একটি চিঠিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে তার প্রস্থান ছিল “হতাশাজনক”, এছাড়াও ভয় ছিল যে এটি “পরিস্থিতির একটি মৌলিক ভুল বোঝাবুঝির উপর ভিত্তি করে”।অপরদিকে, বিরোধী লেবার পার্টি বুধবার থেকে সরকারের অভিবাসন নীতিকে ‘সার্কাস’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে।
bdnewseu/13thDecember/ZI/UK