• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ঢাকার রিকশাচিত্র শিল্পীদের শ্রম মূল্যায়িত হলো ইউনেস্কোতে

কবির আহমেদ কূটনৈতিক বিশ্লেষক আন্তর্জাতিক ডেক্স থেকে বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকার রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করল। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসান শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক ২০০৩ কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় ৬ ডিসেম্বর বুধবার এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। জামদানি বুনন, শীতল পাটি, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর প্রায় ৬ বছরের বিরতিতে বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র’ শিরোনামে এই নিবন্ধন প্রদান করা হয়।

আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা এই স্বীকৃতিকে বাংলাদেশের সকল রিকশাচিত্র শিল্পীদের স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা বিনির্মাণ ও যানবাহনের যান্ত্রিকীকরণের ফলে বড় শহরগুলোতে রিকশা চলাচলে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে ধীরে ধীরে রিকশা ও এর নান্দনিক চিত্রকর্ম হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই চিত্রকর্মটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ এই নথিটি প্রস্তুত করে। এই নিবন্ধনের ফলে বিগত আট দশক ধরে চলমান এই চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।’ তিনি এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উৎসাহ ও সানুগ্রহ দিকনির্দেশনার কথা তুলে ধরেন। এই স্বীকৃতির ফলে রিকশাচিত্রের সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপি এই চিত্রকর্মকে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের দায়বদ্ধতার কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।

বিগত ছয় বছর যাবত এই চিত্রকর্মটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে, ২০২২ সালে পুনরায় নথিটি জমাদানের সুযোগ প্রদান করা হলে প্যারিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ এই অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসেবে অভিহিত করেন। এ ছাড়াও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্যারিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলা একাডেমিকে অভিনন্দন জানান।

বাংলাদেশের রিকশাচিত্র নিবন্ধিত হওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপস্থিত মন্ত্রীবর্গ, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এই চিত্রকর্মের বৈচিত্রপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। গত ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।

বিডিনিউজইউরোপ/৭ডিসেম্বর/জই/ইউনেস্কো


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ