ভোলায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী হাসনাইন ও তার পরিবার ।ভোলায় নারী নির্যাতন দিন দিন অর্থাৎ পর্যায়ে ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার। তার নমুনা , ভুক্তভোগী মোসাঃ মুসফিকা নাজনিন নিজ স্বামী হাসনাইন আহম্মেদের কাছে নির্যাতনের শিকার। বখাটে হাসনাইন দীর্ঘদিন যাবত স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করেন। স্বামী মুসফিকা নাজনিনকে বলেন, বিয়ে করার কারনে তার হাত খরচ সম্পূর্ণ বাসা থেকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, হাসনাইনের পিতা মোঃ হোসেন আহম্মেদ।
তারপর থেকে শুরু হয়, স্ত্রী মুসফিকা নাজনীনের উপর ভয়াবহ নির্যাতন, সহ বেধড়ক মারধর এবং ভুক্তভোগী মুসফিকা নাজনিন বলেন, আমার মা বেঁচে থাকা কালীন সময় আমার বাপের বাড়ি থেকে আমি প্রায় ৭ লাখ টাকার উপরে আমার স্বামী হাসনাইন আহম্মেদকে এনে দেয়। কিন্তু তার দিন দিন যৌতুকের চাহিদা ভিষণ ভাবে বেড়ে যায়। ফলে সে আমাকে নানা রকম ভাবে টাকা পয়সা নেয়, এবং বিভিন্ন অজুহাতের মাধ্যমে টাকা নিয়েছে, এবং আমার পরিবার আমার সুখের জন্য তার সকল অন্যায়ের চাহিদা পূরণ ও করেছে। শেষে অন্য কোন উপায় না পাওয়াতেই তার অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য জজকোর্টে একটি মামলা করি।
গত ০১ আগস্ট ২০২৩ইং (বৃহস্পতিবার) ১০ লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের এবং আমার স্বামী হাসনাইন আহম্মেদ পরিবারের চাপে পড়ে আমাকে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভোলা সদর থানায় মামলা করতে যাই, কিন্তু সেখানে মামলা নেই নি বরং উপর মহলের কথা বলে এড়িয়ে গেলে। পরে তার পরিবার কোর্টে হাসনাইন আহম্মেদকে আসামি করে নারী নির্যাতনের মামলা করেন। পরে কোর্ট তাকে মুক্ত করে পারিবারিক ভাবে সমস্যা সমস্যা করে নিতে বলা হয়েছে।
কোর্টের নির্দেশনায় সমাধানের আগে স্ত্রী মুসফিকা নাজনিন শশুর হোসেন আহম্মেদের বাড়িতে যায়। সেখানে হাসনাইন সহ হাসনাইনের মামার বন্ধু হাসনাইনের পরিবারের সামনে এবং পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতে মুসফিকা নাজনিনকে লিমন নামের ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন। মুসফিকা নাজনিনের স্বামী হাসনাইন আহম্মেদ ও তার পরিবার সব দেখার পরও চুপ ছিলেন, বলে জানান ভুক্তভোগী মুসফিকা নাজনিনের পরিবার।
মুসফিকা নাজনিন সহ তার পরিবার হাসনাইনের উপযুক্ত শাস্তির বিচার চেয়ে, ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন। সে সময় কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী মুসফিকা নাজনিনের পরিবার সহ আত্মীয় স্বজন ও এলাকার বাসী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিবাহের তিন মাস পর থেকে স্বামী মুসফিকা নাজনিনকে দীর্ঘদিন অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে। স্বামী হাসনাইন ও তার পরিবার। নারী অত্যাচার সহ যৌতুক নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি নারী নির্যাতনের মামলা করতে যান, সেখানে পুলিশ প্রশাসন, মামলা নিতে অস্বীকার জানান। এবং দীর্ঘদিন যাবত মুসফিকা নাজনিন গুরুতর জখম অবস্থায় ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এবং ভুক্তভোগী মুসফিকা নাজনিনকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষক মোঃ হোসেনের বখাটে ছেলে ও মুসফিকা স্বামী হাসনাইন আহম্মেদ ও এর পরিবার। মুসফিকা নাজনিনের বড় বোন তামান্না আক্তার রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ নিরুপায় হয়ে গেছে বলে জানান, দেশে নারীদের অধিকার শুধু মুখে মুখে দিয়েছেন আমার সরকার শেখ হাসিনা। কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও দৃশ্য চোখে পড়ে না, আমাদের মত সাধারণ পরিবার গুলোর চোখে। আমরা যখন থানায় ডুকি তখন পুলিশ প্রশাসন উপরে দোহাই দিয়ে আমাদের মামলা ছুঁয়েও দেখে নি। সেখানে স্পষ্ট বুঝা যায় দেশে নারীদের স্বাধীনতা নেই। নেই কোন ন্যায় বিচারের রেশ মাত্র।
যদি থাকে তাহলে এক জন শিক্ষক ও ডাক্তারের ক্ষমতায় প্রশাসন চুপ থাকে কি করে। আমরা আজ দীর্ঘদিন যাবত এই সমস্যা জর্জরিত হয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমরা এই নারী নির্যাতন এর দৃষ্টিন্ত মূলক শাস্তি চাই। এবং আমার ছোট বোন মুসফিকা নাজনিনের মত আর কোনো যেন মা হারা মেয়ের শশুর বাড়ি লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে না পারে। আমরা ঘটনার প্রতিকার চাই এবং স্থানীয় প্রশাসন সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং ন্যআয় বিচারের জোড়ালো দাবি জানাচ্ছি।
মুসফিকা নাজনিনের অভিযুক্ত স্বামী হাসনাইন আহম্মেদ এর বাসায় ভোলা সদর পৌরসভার ০৩ নং ওয়ার্ড কালীবাড়ি রোড়, পিতা মোঃ হোসেন আহম্মেদ বলে জানা গেছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১ডিসেম্বর/জই/ভোলা