ইসরায়েলি বর্বরতায় ফিলিস্তিন এবং সেই দেশের জনগণকে বিশ্ব বিবেকের কাছে সমর্থনের এক মৌর্য প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে।ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন কিছুতেই মানতে পারছেন না ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। অত্যাধুনিক-বিধ্বংসী সব মিসাইল, ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রে ইসরায়েলকে যেন ঘিরে রেখেছে ইরান। যে কোনো সময় দেশটিকে চুরমার করে ফেলতে চায় ইরান। আর এতেই ভয় পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল! মধ্যপ্রাচ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে যাচ্ছে বাইডেন সরকার। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে অত্যাচার চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর মধ্যে সব সীমাই পার করে ফেলেছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল।
এর আগে, রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে নিজের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই এলাকায় দুটি রণতরী পাঠিয়েছে দেশটি। এবার অঞ্চলটিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে পেন্টাগন।
গত শনিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা বাড়াতে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি স্থানে টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি) ব্যাটারি ও অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ব্যাটালিয়ন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান, ইরান ও তার প্রক্সি বাহিনীকে মোকাবিলা করা এবং ইসরায়েলকে সমর্থনের সামগ্রিক প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু ইরান নয়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুংকার ছাড়ছে সৌদি, মিসর, লেবানন, সিরিয়া থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি আরব রাষ্ট্র। আরব বিশ্বের সাথে আবার সুর মেলাচ্ছেন শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। আর এসব কিছু দেখে গোলমেলে লাগছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ হাজার শিশু ও অধিকাংশই নারী।
বিডিনিউজ ইউরোপ/২৫অক্টোবর/জই/ইরান