এথেন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপিত।গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দূতাবাস প্রাঙ্গনে “শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৮ই অক্টোবর ২০২৩ তারিখ বিকেল পাঁচটায় শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং গ্রিসে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী সমূহ পাঠ করে শোনানো হয়। এছাড়া দিবস টি উপলক্ষে শেখ রাসেলের উপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় যা উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে।দিবসটি উপলক্ষে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ তথা গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে গ্রিস আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান মাতুব্বর,সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ আল আমিন সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আলফা সহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। আলোচকগণ শেখ রাসেল এর মধ্যে নিহিত অমিত সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর নিষ্ঠুর ঘাতকগণ শেখ রাসেলকে হত্যা করেছিল কারণ তারা শেখ রাসেলের মধ্যে অমিত সম্ভাবনাকে ভয় পেয়েছিল।
তারা বলেন আজ যদি শেখ রাসেল জীবিত থাকতেন তবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আরও বেগবান হতো। তারা ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং এই সকল খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল শাহাদাত বরণকারী সদস্যদের হত্যার বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদ তার বক্তব্যে শুরুতেই ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এ শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং শেখ রাসেলসহ তার পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন শেখ রাসেলের মত একজন নিষ্পাপ শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর ঘাতকরা তাদের নিষ্ঠুরতার প্রমাণ দিয়েছিল। তাদের এই ঘৃণ্য কাজ জাতি কখনো ক্ষমা করেনি এবং ক্ষমা করবে না। তিনি আরো বলেন শেখ রাসেলকে হত্যা করলেও শেখ রাসেল কোটি কোটি বাংলাদেশিদের মনে অমিত সম্ভাবনা ও অনন্ত প্রেরণার উৎসাহ হিসেবে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
তিনি ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের পলাতক ঘাতকদের ফাসির রায় কার্যকরের মাধ্যমে বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শেখ রাসেল দিবস এবং শেখ রাসেলের জন্মদিনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে বিশেষ দোয়া পাঠ এবং মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাতে শেখ রাসেল সহ ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের এবং বাংলাদেশের মানুষের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং সাফল্য কামনা করে দোয়া করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশগ্রহণ করেন যাদেরকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আপ্যায়িত করা হয়।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৯অক্টোবর/জই/এথেন্স