নাড়ির টানে বাড়ি ফিড়ছে হাজারও পুরুষ দ্বীপজেলা ভোলায়।রাজধানীতে কর্মরত প্রবাস প্রিয় জনদের সঙ্গে ঈদ উৎসব ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে ছুটছে নিঝ নিঝ গ্রাম অঞ্চল গুলোতে। যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে ভোলার ইলিশা ঘাটে।২৭ জুন ( মঙ্গলবার ) প্রয়োজনের তুলনায় নৌযান সংকট, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সব মিলিয়ে রাজধানী থেকে লঞ্চ যোগে ভোলায় নেমে বাড়ি যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ভোগান্তির পরেই নিরাপদ ভাবে গন্তব্যে ফিরতে পেরে খুশি অনেকেই।
যাত্রী আরিফ, সোহাগ ও সালাউদ্দিন বলেন, প্রতিটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। আমাদের অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে গ্রামে ঈদ করতে, ভাড়াও বেশি নিচ্ছে। তবুও বাধ্য হয়ে আমাদের আসতে হচ্ছে পরিবারের সাথে ঈদ করতে।
এ দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনা রোধে, নৌ-পুলিশ, এবং কোস্টগার্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ভোলা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ
মোঃ আখতার হোসেন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তায় আমরা নিয়োজিত রয়েছি। এবং এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাইনি। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী সুজা বলেন, লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য আমাদের অভিযান চলোমান আছে, একই সঙ্গে লঞ্চগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সেই দিকেও নজর দিচ্ছি আমরা।
উল্লেখ্য, ইলিশা-ঢাকা ও ইলিশা-লক্ষ্মীপুর রুটটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সংযোগস্থল, ঈদ উপলক্ষে এ রুটে ৩ টি, সি ট্রাক ও ৮ টি লঞ্চ চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
কাজের সন্ধানে দ্বীপজেলা ভোলার ৫ লাখের বেশি কর্মজীবি সাধারণ মানুষ রাজধানী ঢাকা সহ চট্রগ্রাম বসবাস করে আসছেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তারা এখন গ্রামের বাড়ি ফিরছেন।
যে কারণে এতো কমসংখ্যক নৌযান যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে, বলে মনে করেন কতৃপক্ষ।
বিডিনিউজ ইউরোপ/২৮জুন/জই/ভোলা