ঝালকাঠিতে ১৬১৮ খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে পালিত
২২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত।ঝালকাঠিতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গড়ে তোলা গবাদি পশুর খামারগুলোতে ২২ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ বিক্রির জন্য প্রস্তুর করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খামার থেকে কেনা যাবে এসব পশু। অনেকে আবার কোরবানীর পশুর হাটেও বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনলাইনে বেচা কেনার কথাও বলছে প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
ঝালকাঠিতে কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার। জেলায় ছোট বড় ১৬১৮টি খামার রয়েছে। গ্রাম গ্রামে ঘুরে গরু, মহিষ ও ছাগলের বাচ্চা কিনে প্রায় নয় মাস ধরে লালন পালন করছেন খামারিরা। শুধুমাত্র খৈর, ভুষি, ভাত, ভাতের মার, খরকুটা ও কঁাচা ঘাসসহ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে তাদের মোটাতাজা করা হয়েছে। কোরবানিকে সামনে রেখে খামারের প্রায় সব পশুই বিক্রির উপযোগী। খামারে ১৪ হাজার গরু, মহিষ দুই হাজার, ছাগল ছয় হাজারসহ ২২ হাজার পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব খামারে সর্বোচ্চ পঁাচ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। তারা ব্যাংক ঋণের সাহায্যে অর্থের সংস্থান করে এসব খামারগড়ে তুলেছেন। খামারীরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বিষমুক্ত পশু পালন করছেন। স্থানীয় এ পশু নিরাপদ বিধায় ক্রেতাদের খামারে গিয়ে অথবা অনলঅইনে পশু কেনার অনুরোধ জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
মোহাম্মদ ছাহেব আলী (জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ঝালকাঠি) জানিয়েছেন জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির পশুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং পশুর খামারগুলো বাচিয়ে রাখার সার্থে ভারতের সীমানা দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ যেন না করতে পারে, সেই দাবি জানিয়েছেন খামারীরা।
বিডিনিউজ ইউরোপ/২১জুন/জই/ঝালকাঠি