দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গণমানুষের রাজনৈতিক দলের নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংক্ষেপে বিএনপি। ছাত্র জীবন থেকে বেড়ে ওঠা জিয়া পরিবারের আদর্শের কর্মী থেকে আজ লক্ষ তরুণ প্রজন্মের নিকটে সবচেয়ে পরিশ্রমী ও মেধাবী একজন নেতৃত্ব তিনি আর কেহ নন।তিনি হচ্ছেন ইউরোপের নিষ্ক্রিয় জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতা কর্মীদের সুসংগঠিত ও পুনরুজ্জীবিত করে সম্পূর্ণ নতুন ধারণা নিয়ে ইউরোপে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর আবু জাফর রাসেল।

বর্তমানে তিনি স্পেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও “সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন ইউরোপ”এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন সহ্য করতে না পেরে বিএনপির নেতা কর্মীরা যখন খুব বেশি জেল জুলুম গুন খুনের শিকার হচ্ছিল সেই সময় তারুণ্যের অহংকার দেশ মাতৃকার দিশারি দেশ নায়ক তারেক রহমানের একটি ঘোষণা আসল দেশে বিদেশে বিএনপি সকল স্তরের নেতা কর্মীরা কারো নির্দেশের অপেক্ষা না করে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাও। ঠিক সেই সময় ইউরোপের বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চলমান আন্দোলন কে আরো বেগবান করার জন্যে হঠাৎ ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশে যারা ছাত্র দলের রাজনীতি তে যুক্ত ছিলেন তাদের কে সুসংগঠিত ও পুনরুজ্জীবিত করে গঠিত হলো সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন ইউরোপ নামে ভিন্ন একটি প্লাটফর্ম। যার মধ্যদিয়ে ইউরোপে বিএনপির আন্দোলনে যুক্ত হলো নতুন মাত্রা।
শুরু হলো নতুন অধ্যায়। একজন ব্যক্তি হয়ে ইউরোপের সব দেশে একের পর এক কমিটি ঘোষিত হতে শুরু হওয়াতেই নতুন করে নিজ দলের ভেতরে বাইরে এই সংগঠন কে ঠেকানোর পরিকল্পনা। এর মধ্যে ও দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বুকভরা সাহস কে পূঁজি করে দেশ থেকে দেশে পকেটের অর্থ ব্যয় করে শুরু করলেন সাংগঠনিক সফর।
শুরু হলো নতুন বিতর্ক এমন ও দেখা গেছে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক যেমন আওয়ামী লীগের মূল আতংক ঠিক তেমনিভাবে দেশে দেশে বিএনপির এক শ্রেণীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সবকিছুর বিনিময়ে আবু জাফর রাসেল কে প্রতিরোধ ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার ও প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। কিন্তু সব কিছু কে পিছনে ফেলে আজ ইউরোপে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন কে শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য এবং বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দের একটি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। দলের ভিতরে এখনো কিছু হাইব্রিড ও টুকাই শ্রেণীর অন্য দলের দলাল কর্তৃক ভুল ভাল বুঝিয়ে কিছু নেতাদের বিভ্রান্ত করে সাম্প্রতিক সময়ে ও অনলাইন সভার মাধ্যমে এই সংগঠন কে নিষিদ্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছে কিন্তু বিএনপির সিনিয়র
নেতৃবৃন্দের দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞার কারণে তরুণদের প্রাণের সংগঠন সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন ইউরোপ এখনো বহাল তবিয়তে বিশাল আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং প্রবাসে নেতাকর্মীদের একত্রিত করে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন দলের মধ্যে পাদ পদবীর রমরমা বেচা কিনা চলমান থাকলেও সাবেক ছাত্র দল অর্গানাইজেশন ইউরোপ এর প্রতিষ্ঠা সভাপতি আবু জাফর রাসেল প্রবাসে দৈনিক বার ঘন্টা অক্লান্ত পরিশ্রমে অর্জিত অর্থে এখনো চালিয়ে নিচ্ছেন এই সংগঠন কে।
এটি রাজনীতির মধ্যে নতুন একটি নজিরবিহীন উদাহরণ হিসেবে দেখছেন অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন এবং বলেন যেখানে বর্হিবিশ্বের বিএনপির প্রায় সকল কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অগোছালো সেক্ষেত্রে আবু জাফর রাসেল একজন ব্যক্তি হয়েও ইউরোপের সব দেশে একের পর এক নতুন করে কমিটির হালনাগাদ চলমান রেখেছেন এটি সত্যি কার ভাবে রাজনীতির জন্য শিক্ষানীয় বিষয়।
এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন সৎ ইচ্ছা ও দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভাবে কমিট মেন্ট থাকলে বিএনপির মত জনপ্রিয় দলকে দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক ভাবে আরো অনেক কিছু করার সামর্থ রয়েছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১ ডিসেম্বর/ জই