জার্মানি তার অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে।যুক্তরাজ্যের ন্যায় ইইউর বাইরে আশ্রয় প্রক্রিয়া স্থানান্তর করতে চায় জার্মানি।ইউরোপের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এমনটি জানিয়েছে।অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকে ইউরোপের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তর করা যায় কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জার্মানি৷ সম্প্রতি এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্যাজার৷
ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সোনটাগসাইটুং পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আশ্রয় আবেদন ইউরোপের বাইরের কোনো দেশে যাচাই-বাছাই করা যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তা করছে জার্মানির সরকার৷
তিনি বলেন, আইনের ভিত্তিতে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে অভিবাসনের চুক্তির পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ এমন চুক্তির আওতায় অভিবাসীদের সুরক্ষা দেয়া যায় কি না সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে৷
তবে ইউরোপের বাইরের দেশ বলতে ঠিক কোন দেশটি সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে সে বিষয়ে তেমন কিছু পরিস্কার করেননি ফ্যাজার৷
জার্মানিতে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে৷ ২০২২ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে মোট আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছিল৮ লাখ ৮১ হাজার ২০০টি৷ এর মধ্যে জার্মানিতে জমা পড়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৫টি আবেদন৷উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জার্মানির অনেক শহরই আশ্রয়প্রার্থীদের জায়গা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে৷
অপরদিকে, অভিবাসীদের স্থানান্তরে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার সঙ্গে চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য৷আশ্রয়প্রার্থীদের যুক্তরাজ্যে না রেখে, প্রায় চার হাজার মাইল দূরের দেশ রুয়ান্ডায় স্থানান্তর করতে চায় প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকার৷ এজন্য দেশটির সঙ্গে ১৪ কোটি পাউন্ডের একটি চুক্তিও করেছে তারা৷ তৈরি করা হচ্ছে অভিবাসীদের জন্য আবাসন৷
ফ্রান্স থেকে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসা আশ্রয়প্রার্থী এবং অন্যান্য রুটে আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের প্রবাহ বন্ধ করা দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের শীর্ষ অগ্রাধিকার৷
আশ্রয়প্রার্থী বা অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে গত জুনেই প্রথম ফ্লাইটটি পরিচালনার চেষ্টা করেছিল যুক্তরাজ্য৷ কিন্তু ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের সিদ্ধান্তে পিছু হটতে হয় বাধ্য হয় ব্রিটেন সরকার৷ আইনি পদক্ষেপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো অভিবাসীকে রুয়ান্ডায় স্থানান্তর করা যাবে না সিদ্ধান্ত দেয় আদালত৷
ডিসেম্বরে লন্ডনের হাইকোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারের নীতিটি আইনসম্মত বলে রায় দিয়েছে৷ কিন্তু আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাসহ সিরিয়া, সুদান, ইরাক, ইরান এবং ভিয়েতনামের আশ্রয়প্রার্থীরা৷
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২মে/জই