করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য BioNTech এর প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টোফ হুবারকে সম্মান জানালেন,অষ্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী
বায়োএনটেক এমন একটি সংস্থা যা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফাইজারের সাথে মিলে বাজারে করোনার বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন আনতে চলেছে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জন্মগ্রহণকারী(১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৪৪) প্রফেসর ক্রিস্টোফ হুবার ও তুরস্কের বংশোদ্ভূত প্রফেসর উগুর সাহিন ২০০৮ সালে জার্মানির মাইন্সে BioNTech প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই করোনার টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে প্রফেসর ডা.সাহিনের স্ত্রী তুরস্কের বংশোদ্ভূত ডা.ওজলেম টুরেসিও যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
ক্যান্সার গবেষণার ক্ষেত্রে অগ্রণী হিসাবে বিবেচিত অধ্যাপক ক্রিস্টোফ হুবারকে অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান ফেডারাল চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ “অস্ট্রিয়ান ক্রস অফ মেরিট ফর সায়েন্স অ্যান্ড আর্ট” পুরষ্কারে ভূষিত করেছেন। প্রফেসর ক্রিস্টোফ হুবার করোনার ভ্যাকসিন সহ আরও অগণিত সেবার জন্য অস্ট্রিয়ার এই সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং সম্মানিত হয়েছেন। হুবার টিউমার প্রতিরক্ষা এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিকাশের প্রক্রিয়াগুলি গবেষণায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন, বিশ্বজুড়ে শীর্ষস্থানীয় গবেষণা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন এবং ২০০৮ সালে বায়োএনটেক সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ফেডারেল চ্যান্সেলরির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
হেম্যাটোলজিস্ট, অনকোলজিস্ট এবং ইমিউনোলজিস্ট প্রফেসর ডা.ক্রিস্টোফ হুবার ২০০৮ সালে দুই অংশীদারদের সাথে একত্রে জৈব প্রযুক্তি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; ফাইজারের সাথে যে সংস্থাটি বাজারে করোনার বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন আনতে চলেছে। অস্ট্রিয়ার সরকার প্রধান চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ প্রফেসর ক্রিস্টোফ হুবারকে অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞান ও আর্টের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করে বলেন, “অধ্যাপক হুবার তার পুরো ক্যারিয়ারে একজন চিকিৎসক এবং গবেষক হিসাবে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছেন। তার কাজ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার জন্য আমরা তার কাছে ঋণী। আমি তার পরিষেবার জন্য অস্ট্রিয়া প্রজাতন্ত্রের পক্ষ থেকে প্রফেসর হুবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই বায়োএনটেক সংস্থা বিশ্বে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। তাদের এই আবিষ্কার করোনা মহামারীতে আতঙ্কগ্রস্ত ও হতাশায় নিমজ্জিত বিশ্বকে দিতে যাচ্ছে পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার এক নতুন স্বপ্ন ও আশার আলো।
বিডিনিউজ ইউরোপ/২৯ নভেম্বর/ জই