• মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

ইইউতে বেড়ে গেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা

কবির আহমেদ কূটনৈতিক প্রতিবেদক ইন্টারন্যাশনাল ডেক্স বিডিনিউজ ইউরোপ
আপডেট : রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩

ইইউতে বেড়ে গেছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা।
২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ২০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ যা ২০২১ সালের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেশি৷গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ইউরোপের অভিবাসন প্রত্যাশী টানা দুই বছর আশ্রয় আবেদন বেড়েছে বলেও জানিয়েছে ইউরোস্ট্যাট৷ ২০২১ সালে, আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪০০ জনের আবেদন জমা পড়েছিল। ২০২০ সালে অবশ্য বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে আবেদন কমে গিয়েছিল৷ সে বছর আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেন ৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ জন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে এমন লাখো আবেদন জমা পড়েছিল ২০১৫-২০১৬ সালের দিকে৷ সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে তখন বছরে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ২০২২ সালে একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলো ৪০ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে৷ রুশ আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউরোপের একাধিক দেশে আশ্রয় নিয়েছেন লাখো ইউক্রেনীয় শরণার্থী৷ অবশ্য তাদের বিশেষ সুরক্ষা দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো৷

ইইউর সদস্য দেশগুলি সে ক্ষেত্রে যদিও অস্থায়ী জরুরি নিয়ম গ্রহণ করেছে৷ কারণ রুশ আগ্রাসনের পর থেকে গত এক বছরে মানুষের আগমন বেড়েই চলেছে৷ তবে সে ক্ষেত্রে মোট দুই বছরের জন্য ‘এক্সটেনশন’ সম্ভব। প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি আশ্রয় প্রক্রিয়া এড়াতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের আবেদন দ্রুত বিবেচনা করতে হবে৷

২০১৩ থেকে আশ্রয় আবেদনের শীর্ষে সিরীয়রা।
২০২২ সালে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯৭১ জন সিরীয় নাগরিক আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে জমা পড়া আশ্রয় আবেদনের শতকরা ১৫ শতাংশই দেশটির নাগরিকদের৷

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানের নাম৷ তালেবান ক্ষমতায় এলে, দেশটির অনেক নাগরিক ইউরোপে আসার চেষ্টা করছে৷ গত বছর দেশটির এক লাখ ১৩ হাজার ৪৯৫ জন নাগরিক আশ্রয় চেয়ে (১৩ শতাংশ) আবেদন করেছেন৷ভেনেজুয়েলা এবং তুরস্ক থেকে যথাক্রমে ৫০ হাজার ৫০ জন এবং ৪৯ হাজার ৭২০ জন আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন৷ যা মোট আবেদনের ছয় শতাংশ৷

আশ্রয় আবেদন সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে জার্মানিতে৷ ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৫টি আবেদন জমা হয়েছে দেশটিতে৷ যা মোট আবেদনের প্রায় ২৫ শতাংশ৷ ফ্রান্সে ১৬ শতাংশ, স্পেনে ১৩ শতাংশ, অস্ট্রিয়ায় ১২ শতাংশ এবং ইটালিতে নয় শতাংশ আশ্রয়-আবেদন জমা পড়েছে৷

এদিকে ইইউ আরও জানায়,এই
সময়ে প্রায় ৩৪ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশী ইইউতে আবেদন করেছে। ২০২১ সালে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি ইইউ প্লাস দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন৷ এবার এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে৷ অনিয়মিত উপায়ে আসা ৩৩ হাজার ৭২৯ জন বাংলাদেশির আবেদন জমা পড়েছে ২০২২ সালে, যা পাকিস্তানের নাগরিকদের পর আবেদনের দিক থেকে সপ্তম৷ইইউএএ-এর তথ্য অনুযায়ী, তুর্কি, ভেনেজুয়েলান, কলম্বিয়ান, বাংলাদেশি ও জর্জিয়ানদের আবেদনের সংখ্যা অন্তত ২০০৮ সালের পর সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে৷

অনেক সময়ই আবেদনের পর সিদ্ধান্ত পেতে শরণার্থী, অভিবাসীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়৷ তবে গত বছর ৬ লাখ ৩২ হাজার আবেদনেরই সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব হয়েছে৷ এর মধ্যে ৩ লাখ ৭৯ হাজার বা প্রায় অর্ধেক আবেদনই প্রত্যাখ্যান করেছে কর্তৃপক্ষ৷ অন্যদিকে, ১ লাখ ৪৭ হাজার জন শরণার্থী হিসেবে এবং ১ লাখ ৬ হাজার জন সাবসিডিয়ারি প্রটেকশন বা সহায়ক সুরক্ষার আওতায় থাকার অনুমতি পেয়েছেন৷

উল্লেখ্য, নিজ দেশে বর্ণ, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক কারণে কেউ নির্যাতনের শিকার হলে বা কারো জীবন হুমকির মুখে থাকলে তিনি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলোতে সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করতে পারেন৷

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২৬মার্চ/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ