গ্রীসে থাকা বাংলাদেশিদের বৈধতা দিচ্ছে গ্রীকসরকার“আবেদন শুরু“-রয়েছে শর্ত:
গ্রীক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্থাপিত চুক্তি অনুযায়ী গ্রীসে থাকা অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গ্রীক সরকার। এ বিষয় নিয়ে গত ০৯/০১/২০২৩ ইং তারিখে মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশিত করেছে তারা।চুক্তি ও গ্রীক সরকারের করা আইন অনুযায়ী যারা ০৯ ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখের আগে থেকে গ্রীসে বসবাস করছেন কেবল তারাই প্রমাণ সাপেক্ষে বৈধতার আবেদন করতে পারবেন।এ বিষয়ে আবেদনের জন্য অনলাইনে প্ল্যাটফর্মটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ বছরের এ বৈধতাকে তারা বলছেন অস্থায়ী বৈধতা এবং বছরে ০৯ মাস কাজের বিপরীতে ০৩ মাসের ছুটি কাটানোর শর্ত ও থাকছে এতে।সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া গ্রীসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অধীনে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
আশা করছি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ দূতাবাস গ্রীস থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।এ বৈধতার সম্পূর্ণ আবেদন অনলাইনে হবে এবং অবশ্যই একজন মালিকের অধীনে কাজ করার নথি দেখাতে হবে।
কতদিনের মধ্যে ও কি কি ডকুমেন্ট এবং কত ইউরো ফি জমা দিতে হবেঃ
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,গ্রীক সরকার ঘোষিত গ্রীসে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার আবেদন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম(www.gov.gr) শুরু হয়েছে।শর্ত সাপেক্ষে বৈধতা নিতে আগ্রহী সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত দূতাবাসে নাম নিবন্ধন করতে হবে।
১) দুই বছরের বেশী মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট,
২) নিজ নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর,
৩) সক্রিয় ইমেইল আইডি
৪) ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এর আগে গ্রিসে অবস্থানের প্রমান নথি।
উল্লেখ্য, নিয়মিত হওয়ার জন্য ২ বছরের বেশী মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এর পূর্বে গ্রিসে আসার প্রমানক এবং সম্ভাব্য চাকুরীদাতা কর্তৃক gov. gr (online) প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রদত্ত চাকুরীর নিশ্চয়তা পত্র ছাড়াও অনলাইন আবেদনের পূর্বে নির্ধারিত ফি ৭৫ ইউরো [কোড ২১৪৮] এবং রেসিডেন্স কার্ড ফি ১৬ ইউরো[কোড ২১১৯] প্রদান, দূতাবাস হতে পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি সংগ্রহ এবং দূতাবাসে বাধ্যতামূলক নাম নিবন্ধন করতে হবে।
০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখ (চুক্তি স্বাক্ষরের দিন) বা এর আগে থেকে গ্রিসে বসবাস করছিলেন তার প্রমানক হিসেবে, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ এর পূর্বে (ক) গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস হতে ইস্যুকৃত পাসপোর্ট
(খ) গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস হতে পাসপোর্টের আবেদনের রিসিট কপি
(গ) গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস হতে ইস্যুকৃত বিভিন্ন সার্টিফিকেট বা অন্যান্য রেকর্ড
(ঘ) গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস হতে ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ
(ঙ) গ্রিসে অবস্থানের অন্যান্য রেকর্ডপত্র, যদি থাকে (আফি-ি ম/আমকা/ভ্যাক্সিনেশন কার্ড/পুলিশ রিপোর্ট/নিজ নামে ক্রয়কৃত মোবাইল সিম কার্ড এর তথ্য/নিজ নামের ব্যাংক একাউন্ট এর তথ্য/হাসপাতালের চিকিৎসাপত্র / কোর্টের আদেশপত্র/টাকা পাঠানোর প্রমানপত্র/আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র) ইত্যাদির যেকোন একটি দাখিল করা যাবে।
আশা করছি এথেন্স দূতাবাস অচিরেই নিয়মিতকরনের আবেদনের পূর্ণ প্রক্রিয়া আরো সুন্দরভাবে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিবে।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১১জানুয়ারি/জই