শুরু থেকেই কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে নানা সমালোচনা ও বিতর্ক ছিল। কিন্তু এই কাতার বিশ্বকাপেই ফুটবলপ্রেমীরা সাক্ষী হলেন একের পর এক অনন্য রেকর্ডের! ‘ফেভারিট’ তকমা পাওয়া অনেক দলের বিদায়, এশিয়া ও আফ্রিকার দলগুলোর গর্জন এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি।সব মিলিয়ে এক দুর্দান্ত আয়োজন এবারে বিশ্বকাপ। সেজন্য ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো মনে করেন, কাতার বিশ্বকাপই ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ! গ্রুপ পর্যায়ে উঠে আসা ৩২টি দলের প্রশংসা করে ইনফান্তিনো বলেছেন,‘আমি এই বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ দেখেছি। খুব সহজে ও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি বিশ্বকাপের সর্বকালের সেরা গ্রুপ পর্ব ছিল। একইসঙ্গে স্টেডিয়ামের মান ছিল দারুণ এবং দর্শকের ভিড়ও হয়েছে প্রচুর, গড়ে ৫১,০০০ দর্শক দেখা গেছে ম্যাচগুলোতে।’
‘শুধু স্টেডিয়াম কিংবা দোহার রাস্তাতেই নয়, টেলিভিশনেও ফুটবল উপভোগ করা দর্শকসংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়েছে কাতার বিশ্বকাপে এসে। ফিফা সভাপতি বলেন, ‘টেলিভিশনে সংখ্যাটা রেকর্ড ভেঙেছে।আমরা ইতোমধ্যে ২০০ কোটির বেশি দর্শক পেয়েছি, যা সত্যিই অবিশ্বাস্য! ২৫ লাখ মানুষ দোহার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এবং লাখো মানুষ প্রতিদিন স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখেছেন।
তারা সম্মিলিতভাবে উল্লাস করেছেন এবং নিজেদের দলকে সমর্থন দিয়েছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতিটি মহাদেশের দল নকআউট পর্বে প্রতিনিধিত্ব করেছে।এ পর্যায়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে তিনটি দেশ (এটিও প্রথমবারের মতো) এবং আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশন (সিএএফ) থেকে দুটি দেশ (ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
কাতার বিশ্বকাপ দেখিয়ে দিয়েছে যে এখন আর বিশ্বকাপে ছোট দল বা বড় দল বলে কিছু নেই। বিশ্বকাপের এসব চমক নিয়ে ইনফান্তিনো বলেন, ‘এখন আর বড় দল ও ছোট দল বলে কিছু নেই।সবার মান ছিল কাছাকাছি। প্রথমবারের মতো সব মহাদেশের জাতীয় দল নকআউট পর্বে গেল। এটা দেখায় যে ফুটবল এখন সত্যিই বৈশ্বিক একটি খেলা।’
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১০ডিসেম্বর/জই