• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

বাংলাদেশ-গ্রিসের সাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়নে রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি

বিডিনিউজ ইউরোপ ইন্টারন্যাশনাল ডেক্স ইউরোপ ( গ্রিস)
আপডেট : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে সাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়ন বিষয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের বিবৃতি:
প্রিয় গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই বোনেরা, যারা আজকে আমাদের এই ব্রিফিং এবং মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে সরাসরি আমার বক্তব্য শুনছেন এবং যারা অনলাইনে দেখছেন বা পরবর্তীতে সম্প্রচারিত অংশ দেখছেন, সবাইকে আসসালামুয়ালাইকুম এবং শুভ সন্ধ্যা।১৮ই আগস্ট, আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি একটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে এবছরের ০৯ ফেব্রুয়ারি যে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ফলে গ্রিসে অনিয়মিতভাবে বসবাসরত ১৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিক নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পাবেন এবং বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৪০০০ বাংলাদেশি কৃষি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে চাকরির ভিসা নিয়ে গ্রিসে আসার সুযোগ পাবেন।
নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে আমি গ্রিসে বাংলাদেশিদের বর্তমান চলমান অভিবাসন নিয়ে দু’একটি কথা বলে নিতে চাই। আপনাদের নিশ্চয়ই জানা আছে যে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের Non-refoulement নিয়মের আওতায় অন্যান্য সমস্যা জর্জরিত দেশের সাথে বেশির ভাগ বাংলাদেশীরাও এদেশে আসা শুরু করেছেন এবং refugee কিংবা Asylum status নিয়ে বসবাস করে আসছেন। Non-refoulement -এর নিয়ম অনুযায়ী কোনো বিদেশি লোক তার নিজ দেশে অত্যাচার কিংবা নির্যাতনের শিকার হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশে প্রবেশ করে আশ্রয় প্রর্থনা করলে তাকে তার নিজ দেশে জোর করে ফেরত পাঠানো যাবে না যতক্ষণ না প্রচলিত আইনের আওতায় তার বৈধ কিংবা নিয়মিত প্রবাসী হিসেবে বসবাস করার অধিকার হারায়। কিন্তু এই দীর্ঘ এবং কঠিন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করার সময় প্রবাসীরা যে মানবেতর জীবন-যাপন করে থাকেন তা খুবই বেদনাদায়ক। তাদের এই করুণ চিত্র আমরা মানোলাদা, লাপ্পা এবং অনুরুপ অন্যান্য এলাকায় দেখতে পাই। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এই সমস্ত হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়মিতভাবেই অর্থলোভী দালাল চক্র নানাভাবে হয়রানি ও শোষণ করে চলেছে। তাদের গ্রিক মালিকেরাও তাদের বৈধ কাগজপত্রের অভাবে সর্বনিম্ন মজুরির চেয়ে অনেক কম বেতন দিচ্ছে এবং তারা নিয়মিতভাবেই শোষণ আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এই অনিয়মিতভাবে বসবাসরত আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশীদের করুণ চালচিত্র সার্বিকভাবে আমাদের দূতাবাসের একটি অন্যতম মর্মপীড়ার কারন ছিলো। তখন থেকেই আমরা গ্রিক সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করেছি এবং তাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, যেহেতু তাদের লোক দরকার হবে এবং বাংলাদেশিদেরকে তারা ইতোমধ্যেই কর্মঠ, সদালাপী এবং প্রচলিত আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল হিসেবে দেখেছে এবং জেনেছে, তাই যদি একটি সমঝোতা চুক্তি করে আইনী প্রক্রিয়ার আওতায় তাদেরকে আনা যায় তাহলে তারা যথাযথ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবে এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে পারবে। এতে করে দুই দেশের জন্য একটা Win-Win অবস্থার সৃষ্টি হবে এবং দুই দেশই সমানভাবে লাভবান হবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে দালালদের দৌরাত্ব কমবে এবং অবৈধ ট্রাফিকিং রোধ হবে। আমাদের প্রস্তাবনা গ্রিক সরকারের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে এবং তারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে রাজি হয়েছে এবং এভাবে কূটনৈতিক আলোচনার সূচনা হয়েছে যার সফল পরিণতি হচ্ছে আজকের এই আমাদের বহুল আলোচিত এবং প্রতীক্ষিত Migration and Mobility চুক্তি যার যথাযথ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করবো।এই সমঝোতা স্মারকটি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়মিতকরণের জন্য প্রক্রিয়াটি নির্ধারণের লক্ষ্যে গ্রিক সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছি যেখানে প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং প্রাথমিক ভাবে নিয়মিতকরনের প্রক্রিয়াটি নির্ধারিত হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রিসে অনিয়মিতভাবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়মিতকরনের কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষে, গ্রিক সরকার একটি অনলাইন প্লাটফর্ম চালু করবেন যেখানে শুধু মাত্র অনিয়মিতভাবে বসবাসরত বাংলাদেশীরা তাদের আবেদন করবেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে তাৎক্ষণিক ভাবেই বৈধ হয়ে যেতে পারবেন এবং বৈধভাবে চাকরির সুযোগ পাবেন। অনলাইনে আবেদন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই আবেদনকারীর ইমেইল এ তার অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট পাঠানো হবে।

এই বৈধ বা নিয়মিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ এবং সংক্ষিপ্ত। এতে কোন জটিলতা না থাকায় আপনাদের কোন এজেন্ট বা কোন উকিলের শরণাপন্ন হওয়ার বাধ্যবাধকতা নাই। তবে কেউ প্রয়োজন মনে করলে অবশ্যই দূতাবাসের সহায়তা নিতে পারেন এবং বিশ্বস্ত উকিলের সহায়তা নিয়ে তাদের আবেদন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন।এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পর আপনাদেরকে সতর্কতার সাথে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে এই প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে।প্রথম ধাপে নিয়মিত হতে আগ্রহী বা ইচ্ছুক প্রবাসী বাংলাদেশীরা দূতাবাসে তাদের নাম নিবন্ধন করবেন এবং তাদের পাসপোর্ট এর একটি অনুলিপি সত্যায়িত করে নিয়ে যাবেন। দূতাবাসে আপনার নাম নিবন্ধনের সময় আপনাদের কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, ১) দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট নিয়ে আসতে হবে ২) ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর পূর্বে গ্রিসে আগমন বা বসবাসের প্রমাণক দলীল থাকতে হবে ৩) আপনার একটি ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে এবং ৪) আপনার নামে নিবন্ধিত একটি মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
যারা ইতোমধ্যে তাদের সম্ভাব্য চাকরিদাতা নিশ্চিত করতে পেরেছেন তারা যথাশীঘ্র দূতাবাসে এসে তাদের নাম নিবন্ধন করে এবং তাদের পাসপোর্টটি সত্যায়িত করে নিয়ে যেতে পারেন। দূতাবাস ইতোমধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে এবং প্রায় শতাধিক আবেদনকারীর নাম নিবন্ধিত করেছে। এভাবে আপনি আপনার নিয়মিত করনের প্রথম ধাপটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এটা মনে রাখতে হবে যে দূতাবাসে নাম নিবন্ধন করা হলেই শুধুমাত্র আপনি গ্রিক সরকারের ঘোষিত অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়মিত হওয়ার জন্য আবেদন করতে সক্ষম হবেন। এই নিবন্ধনকারীদের নাম দূতাবাস অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত করার মাধ্যমে তাদের আবেদনের প্রাথমিক ধাপটি সম্পন্ন করবে। এর ফলে অন্য কোন দেশের নাগরিক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মের নিয়মিতকরনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে বেবুচি বা অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট সংগ্রহ করতে পারবেনা। এছাড়া দূতাবাস থেকে সংগৃহীত সত্যায়িত পাসপোর্ট এর অনুলিপিটিও আবেদনকারীর কাছে একটি আসল বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকার প্রমান। তাই আপনার পাসপোর্টটির মেয়াদ দুই বছরের বেশি কিনা তা ভালোভাবে দেখে নিন। শুধুমাত্র দুই বছরের বেশি মেয়াদ যুক্ত পাসপোর্ট ধারীরাই দূতাবাসের নাম নিবন্ধনের এবং অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়মিতকরণ আবেদনের সুযোগ পাবেন। আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ দুই বছরের কম হলে যথাসম্ভব দ্রুত দূতাবাসে এসে নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন। এছাড়া যারা ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর আগে দূতাবাস হতে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন তাদের পাসপোর্টটি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর আগে তাদের গ্রিসে অবস্থানের প্রমাণক হিসাবে বিবেচিত হবে। যাদের ইমেইল আইডি নেই তারা অতিসত্বর ইমেল আইডি তৈরি করুন এবং এর পাসওয়ার্ড সবসময় নিজের কাছে রাখুন। কারণ আবেদনের পরপরই আপনার এই ইমেইলে আপনার ব্লু বেভুচি বা সাময়িক রেসিডেন্স পারমিট টি আপনার কাছে পাঠানো হবে। সেই সাথে আপনার নিজের নামে একটি মোবাইল সিম নিবন্ধিত না থাকলে অতি শীঘ্র আপনার পাসপোর্টের অধীনে একটি মোবাইল সিম নিবন্ধন করে মোবাইল নম্বরটিও নিজের কাছে রাখুন। দূতাবাসে নাম নিবন্ধনের সময় এই ইমেইল এড্রেস এবং মোবাইল নম্বরটি দিন। অনলাইন প্লাটফর্মে আবেদনের সময়ও একই ইমেইল এড্রেস এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করুন।
অনলাইন প্লাটফর্মে নিয়মিতকরণের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত হলে দূতাবাসে নিবন্ধিত ব্যক্তিরা সহজেই অনলাইন প্লাটফর্মে প্রবেশ করে ইমেইল এড্রেস এবং মোবাইল নম্বর সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করবেন এবং দূতাবাস হতে সত্যায়িত পাসপোর্ট এর ফটোকপি, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর পূর্বে গ্রিসে প্রবেশের বা এর পূর্ব হতে গ্রিসে বসবাসের প্রমাণ বা দলিল এবং একজন সম্ভাব্য চাকরিদাতা কর্তৃক স্বীয় taxisnet ব্যাবহার করে অনলাইন প্লাটফর্ম gov.gr এর মাধ্যমে প্রদত্ত চাকরির নিশ্চয়তা পত্র upload করবেন। এছাড়া আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদনের পূর্বে নির্ধারিত ফি যেমন প্রসেসিং ফি ৭৫ ইউরো এবং রেসিডেন্স কার্ড ফি ১৬ ইউরো মোট ৯১ ইউরো ফি অনলাইনে ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করে তার কোড অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদান করে তার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। আবেদন সঠিক ভাবে সম্পন্ন হলে, তার ইমেইল এড্রেসে অস্থায়ী রেসিডেন্স পারমিট প্রেরন করা হবে। এই রেসিডেন্স কার্ড বা বেভুচি দিয়ে তিনি ইকা, আমকা, ও অন্যান্য রেজিস্ট্রেশান সম্পন্ন করবেন।সেই সাথে চাকুরিদাতার সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে কাজে যোগ দিতে পারবেন। এই বেভুচি দিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসা যাওয়া করতে পারবেন।এই বেভুচি প্রাপ্তির মাদ্ধ্যমে তার নিয়মিতকরন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হবে।
বলাবাহুল্য ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর পুর্বে গ্রিসে অবস্থানের প্রমাণ ও দলিল সমূহের সম্ভাব্য একটি তালিকা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে। এই তালিকায় ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর পূর্বে দুতাবাস প্রদত্ত পাসপোর্ট বা যেকোনো সনদপত্র বা সত্যায়ন, ২০২২ এর ৯ ফেব্রুয়ারির আগে ইস্যুকৃত আফিমি, আমকা, সার্টিফিকেট, ট্রেনের টিকেট, মোবাইলের নিবন্ধন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রমাণ ও দলিল যুক্ত হবে।
নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়ার তৃতীয় ধাপে সংশ্লিষ্ট গ্রিক কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর জমা দেয়া কাগজপত্র পরিক্ষন করে তার আবেদনটি গৃহীত হলে, আবেদনকারীকে ৫ বছরের রেসিদেন্স কার্ড প্রদান করবে। এই ধাপে, আবেদনকারীকে তার চাকুরির নিশ্চয়তা দানকারির কাছে কর্মরত থাকা সুবিধাজনক। যাতে তার চাকুরির নিশ্চয়তাপত্র যাচায়ের সময় চাকুরিদাতা তার সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিবেদন দেন। ৫ বছরের রেসিদেন্স কার্ড প্রাপ্তির পর নিয়মিতকরন প্রক্রিয়া শেষ হবে। এর পর উক্ত ব্যাক্তি তার ইচ্ছা ও সুবিধা অনুযায়ী চাকুরি পরিবর্তন করতে পারবেন।প্রতি ৫ বছরে এই কার্ড নবায়ন করা যাবে।
নিয়মিতকরণের এই পুরো প্রক্রিয়াটি অচিরেই লিখিতভাবে প্রকাশ করা হবে বা রুলস আকারে গেজেটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া গ্রিক কর্তৃপক্ষ এবং দূতাবাস একটি ফ্লোচার্টের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি বর্ণনা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে, ফলে আবেদনকারীরা তা অনুসরণ করে সহজেই তাদের নিয়মিতকরণের আবেদনটি অনলাইনে সম্পন্ন করতে পারবেন। আশা করা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখের আগেই গ্রিসের মন্ত্রী সভায় প্রক্রিয়াটি আলোচিত হওয়ার পর মিনিস্ট্রিয়াল ডিসিশন হিসেবে তা প্রকাশিত হবে। যেহেতু প্রক্রিয়াটি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত কিংবা নির্ধারিত হয়নি তাই এই নিয়মিতকরণের সুযোগ-সুবিধাসমুহ এখনই পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। মিনিস্ট্রিয়াল ডিসিশন গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
আমি আপাতত এখানেই শেষ করতে চাই। আশাকরি আপনারা সম্যকভাবে অবগত হয়েছেন।কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে কিংবা নতুন কিছু জানতে চাইলে বা প্রশ্ন থাকলে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন।আমার সাথে এখানে উপস্থিত আছেন আমার দুই সহকর্মী কাউন্সেলর জনাব মো. খালেদ এবং প্রথম সচিব (শ্রম) জনাব বিশ্বজিত কুমার পাল। আমরা আপনাদের প্রশ্নের যথাসম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

আপনাদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২০আগস্ট/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ