২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস। আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস এবং দুর্ভাগ্যবশত আমরা মানুষকে তাদের মাতৃভূমি এবং তাদের বাড়িঘর থেকে উৎখাত করার আরেকটি সংকটের সম্মুখীন হচ্ছি। একটু নিরাপত্তার’ জন্য একটু ভালো থাকার জন্য আশ্রয় নিতে চাই কোন একটি শান্তিপ্রিয় দেশে।‘নিরাপত্তা খোঁজার অধিকার’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এবার যখন দিবসটি পালিত হচ্ছে এর আগেই বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থার প্রতি বিশ্বনেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হয়।এবার রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের পর ইউক্রেনে যুদ্ধ শরণার্থী সংকটের দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত হয়েছে।যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য সংকট একটি বিস্ফোরক পরিবেশ তৈরি করেছে, যা একবিংশ শতাব্দীর উদ্বাস্তু ট্র্যাজেডিকে বাড়িয়ে তুলেছে।

সম্প্রতি, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ১০০ মিলিয়ন উপড়ে শরণার্থী মানুষ বিশ্ব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে এবং খাদ্য সংকটের সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

ইতিমধ্যে ৫ মিলিয়ন নিবন্ধিত ইউক্রেন শরণার্থী আছে. একই সময়ে, ইউনিসেফের মতে, ৪০ মিলিয়ন শিশু তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে এবং ইউক্রেনের ৫ মিলিয়নেরও বেশি শিশু মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ১০ মিলিয়ন রোহিঙ্গা তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে যা কিনা বাংলাদেশে হিমশিম খাচ্ছে।

এই চাপপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য অবিলম্বে এবং সামগ্রিক সমাধান প্রয়োজন। কোনো দেশ একা সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে না এবং কোনো দেশ একা লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে পারে না।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের এবং অবশ্যই, ইউরোপের জন্য, যেটি যুদ্ধ এবং বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, অবশেষে একটি বিস্তৃত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর প্রয়োজন রয়েছে যা শীতকালীন দেশগুলির সমর্থন এবং ইউরোপে আগতদের মানবিক সহায়তার সাথে সীমান্ত পাহারাকে একত্রিত করে ভূখণ্ড কে অক্ষত রেখে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। সীমানা কাঁটাতারের বেড়া মধ্যে যেন মানবিক বিপর্যয়ের না আসে আসুন এ পৃথিবী আমাদের সবার আমরা সকলেই বসবাস করি একে অপরকে ভালোবাসা দিয়ে একে অপরকে জায়গায় দিয়ে।
কামরুজ্জামান ভূঁইয়া ডালিম বার্তা প্রধান বিডিনিউজ  ইউরোপ।
সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক গ্রিক বাংলা প্রেস ক্লাব।
অভিবাসন আইন ও কূটনৈতিক বিশ্লেষক।

বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২০জুন/জই