পৃথিবীতে বিপদজনক পাহাড়ের উপরে গ্ৰিক সন্ন্যাসীদের বসবাস ও মঠ নির্মাণের ইতিহাস।মেটেওরা ধর্মীয়ভাবে পবিত্র ।গ্ৰিক ভাষায় আয়িয়া ট্টায়াধোস নামে পরিচিত। meteora মানে বাতাসকে আটকানো। উত্তর গ্রিসের পেনিউস্ট উপত্যাকায় অবস্থিত।
কলম্ভাকা শহর থেকে ৪০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। ২৪ টি মাঠের মধ্যে ৬টি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। মট গুলোর প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ ব্যাপকভাবে অজানা তবে প্রতিটি মোট কখন নির্মিত হয়েছিল তার সূত্র রয়েছে একাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে স্কেট অফ স্টাগেই একটি প্রাথমিক সন্ন্যাসী রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল এবং থিওটোকোস(ঈশ্বরের মা নামে গির্জা ছিল।
দ্বাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে তোপসে সম্প্রদায় ১৩৪৪ সালে মেটিওরায় ছুটি আছে বসবাসের জন্য।গ্ৰিকদের সম্রাট জন উরোস ১১ শতকে সন্ন্যাসী হয়ে মেটেওরায় চলে আসেন , তিনি এখানে নিরাপদ ভেবে ।
তবে সঠিক সন এখনো অজানা এবং ওই সময়ে বাসস্থান নির্মাণ করেন।চতুর্দশ শতাব্দীর শেষের দিকে উত্তর গ্ৰিসের উপর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মোগল সাম্রাজ্য তুর্কি হানাদারের দাঁড়া হামলার শিকার হয়েছিলেন এবং এতে মোগল সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ নিতে অনেক চেষ্টা করেছিলেন। যা পরে ব্যর্থ হন।
এখানে ২০ টির বেশি মট নির্মিত ছিল, তবে এখন ৬টি রয়েছে। শুরুতে মটের উপর উঠতে জালের মত সিরি ছিল। মটের উচ্চতা ৩৭৩ মিটার (১২২২৪ফুট)। সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত মানুষ এবং পণ্য জুরি এবং দড়ি দিয়ে যাতায়াত করতো।১৯২১ সালে প্রথম মহিলা জেনি রোমানিয়ান রানী মেরি প্রথম প্রদর্শন করেন।১৯২০ সালে যাতায়াতের জন্য পাথরের সিরি কেটে সুব্যবস্থা করা হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানে বোমা হামলা হয়েছিল। এই মট গুলো আগ্নেয়গিরির স্তর নয় তবে শিলাগুলো বেলেপাথরের সমষ্টির মিশ্রণে মিশ্রিত এক খন্ড। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে একটি হ্রদের দ্বারে প্রবাহিত স্রোত থেকে পাথর বালি এবং কাদা জমা দিয়ে গঠিত। এ ধরনের শিলা গঠন এবং আবহাওয়া স্থানীয়ভাবে সারাবিশ্বে অনেক জায়গায় ঘটেছে কিন্তু মেটিওরার সৃষ্টি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে জমা হওয়া শিলা উপাদান।
মটের ভিতর একটি গুহা আছে এটির গন্তব্য কোথায় শেষ হয়েছে তা জানা যায়নি তবে ৫০ বছর আগ থেকে জনসাধারণের প্রবেশের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গুহার সামনে দিয়ে লিথাইওস নদী ও পাইনিওস নদীর একটি উপ নদী। এই নদীর অপর নাম হল সতেজ তাজা বাতাস। প্রচন্ড ঠান্ডা ও বরফের বাতাস প্রবাহিত হলে গুহার ভিতরে সন্ন্যাসীরা অবস্থান করতেন।meteora ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়১৯৮৮ সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এখানে একটি জাদুঘর রয়েছে। ওখানে গ্রীসের সবচাইতে নামকরা ওয়াইন ও জয়তুন তেল উৎপাদন ও বিক্রি করে। প্রতি বছর সারা পৃথিবী থেকে বিভিন্ন বয়সের পর্যটক এটাকে দেখার জন্য আসেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/২৮এপ্রিল/জই