ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন।ইউক্রেনের জন্য ১৩.৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ দেয়ার জন্য জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিল থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে যে,ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকি কানাডার পার্লামেন্টের উদ্দেশে ভাষণ দেবার একদিন পর গতকাল বুধবার( ১৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উদ্দেশে এক ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই ভার্চুয়ালি ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও সহায়তা চেয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়ানো দেশগুলোর একটি নতুন জোটের প্রস্তাব করেছেন।জেলেনস্কি বলেন যে, তিনি ও তার দেশ ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ যুক্তরাষ্ট্রকে আরো কিছু অতিরিক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, “সকল আমেরিকান কোম্পানিকে অবশ্যই রাশিয়ার বাজার ছেড়ে যেতে হবে, কারণ এটি আমাদের রক্তে প্লাবিত হয়েছে।“ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্রিটেনের হাউস অফ কমন্স, কানাডার সংসদ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে উদ্দেশ করে ভিডিওর মাধ্যমে আইনপ্রণেতাদের প্রতি জেলেনস্কি এরূপ বক্তৃতা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সামরিক ও মানবিক সহায়তা চেয়েছেন।রাশিয়া তার সীমান্তের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছে যে, ইউক্রেন কখনোই ন্যাটোতে যোগ দেবে না। ন্যাটো জোর দিয়ে বলেছিল, নিরাপত্তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে স্বাধীন।
ভয়েস অফ আমেরিকার খবরে আরও বলা হয়েছে গত মঙ্গলবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত ছিল এবং পূর্ববর্তী আলোচনাগুলোতে বড় কোনো সাফল্য না পাওয়া গেলেও বুধবারের প্রথম দিকে একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেছিলেন যে, অগ্রগতির কিছুটা লক্ষণ রয়েছে। মঙ্গলবার জেলেনস্কি আপসের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন এমন নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত যার আওতায় দেশটি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে (NATO) যোগ দেবে না।ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেছেন, শান্তি আলোচনার অগ্রগতি হবে কিনা তা নিয়ে এখনই ভবিষ্যদ্বাণী করা যাচ্ছে না। এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘ বলেছে, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হবার পর থেকে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা
এখন প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছেছে।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১৮মার্চ/জই