গ্রিক ও তুর্কী সীমান্তে ঠান্ডায় জমে অজানা ১২ অভিবাসীর করুন মৃত্যু গ্রিক সীমান্তে ঠান্ডায় জমে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর জন্য গ্রিসের সীমান্ত বাহিনীকে দায়ী করেছে আঙ্কারা। যদিও সে অভিযোগ নাচক করে দিয়েছে এথেন্স।স্থানীয় সময় বুধবার গ্রিস সীমান্ত থেকে ১২ অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু গণমাধ্যম কে জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীদের দলটিতে ২২ জন সদস্য ছিল।
মন্ত্রীর অভিযোগ, সীমান্ত পার হওয়ার সময় গ্রিসের সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের পথ রোধ করে। এরপর তাদের শীতের কাপড় ও জুতা রেখে দিয়ে তুরস্কের দিকে ফেরত পাঠানো হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্কের এই অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে ‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ আখ্যা দিয়েছে গ্রিসের অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলটি সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত আসতেই পারেনি বলে দাবি তাদের।
এর আগে গেল মাসেই লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় জমে সাত বাংলাদেশির করুন মৃত্যু হয়। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্নে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এরপরও বিপদসঙ্কুল পথ পেরিয়ে আলোর ঝলঝলানির দেশে সোনার হরিণের পেছনে ছুটছেন হতভাগা অভিবাসন প্রত্যাশীরা। কখনো নৌকা ডুবিতে আবার কখনো বা ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
সূত্র-সাবা
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৩ ফেব্রুয়ারি/জই