ঘুমের অভাবে হতে পারে মারাত্মক বিপদ
নাগরিক জীবনে কর্মব্যস্ততায় কমছে ঘুমের পরিমাণ, এতে ক্ষতি হচ্ছে শরীরের।
সুস্থ থাকতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর থেকে বেশি বা কম ঘুম ক্ষতি করে শরীরের। অথচ নাগরিক জীবনে কর্মব্যস্ততায় কমছে ঘুমের পরিমাণ। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা তুলনামূলক বেশি।
কখনো কাজের প্রয়োজনে আবার কখনোবা মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখতে গিয়ে অনেকটাই রাত গড়িয়ে যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনতে পারে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, পারকিনসন্সের মতো রোগ, এমনকি ক্যান্সারও।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাতে জেগে থাকার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি
শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে ওঠতে পারে ঘুমের অভাব। ঘুমের অভাব থাকলে চাপ বাড়ে মনের ওপর। আবার মানসিক চাপ বেশি থাকলে ঘুম আসতে চায় না। চক্রাকার এই ঘটনায় কুপ্রভাব পড়ে যৌন জীবনেও। ঘুম না এলে মেনে চলতে পারেন সহজ কিছু উপায়।
ক্যাফিন আছে এমন পানীয় এড়িয়ে চলুন সন্ধ্যার পর থেকে। ক্যাফিন উত্তেজিত করে স্নায়ুকে, যার প্রভাবে ঘুম আসতে চায় না সহজে। ক্যাফিনযুক্ত পানীয়ের প্রভাব থাকতে পারে প্রায় ছয় ঘণ্টা।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব ডেকে আনতে পারে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সারও
ভারী খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া খুব খারাপ একটি অভ্যাস। রাতের খাবার ও ঘুমের মধ্যে কিছুটা সময়ের ব্যবধান থাকা অত্যন্ত জরুরি। রাতের খাবার বেশি না হওয়াই ভালো। বেশি খেয়ে ততক্ষণাৎ বিছানায় গেলে পরিপাকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা বিঘ্ন ঘটায় ঘুমে।
মানব শরীর ঘড়ির কাঁটার মতো নিয়ম মেনে চলে। একে ‘জৈব ঘড়ি’ বলে। রোজ একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠা শরীরকে একটি জৈবিক বার্তা দেয়। যা আপনার প্রতিদিনের ঘুমের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
বেশি খেয়ে ততক্ষণাৎ বিছানায় গেলে পরিপাকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা বিঘ্ন ঘটায় ঘুমে
অনেকেই মানসিক ও শারীরিক চাপ কমানোর জন্য ঘুমানোর আগে নিয়মিত মদ্যপান করেন। কিন্তু এতে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তার বদলে হালকা গরম পানিতে স্নান বা মেডিটেশন করার মতো অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে উপকার অনেক বেশি।
শুয়ে যাওয়ার আগে বই পড়া একটি অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। তবে মোবাইল, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারে বই পড়ার ফল কিন্তু একেবারেই বিপরীত। মনে রাখবেন ঘুম না আসা যদি অসুস্থতার পর্যায়ে পৌঁছে যায় তবে তাকে ‘ইনসমনিয়া’ বলে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/১২ ডিসেম্বর/ জই