• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
সিরিয়ার দীর্ঘ ৫৪ বছরের পতন আসাদের পলায়ন ভোলার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান “পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার” সনদপত্র অর্জন ভিয়েনা বিশ্বের মানুষের বাসযোগ্য শ্রেষ্ঠ শহর থেকে একধাপ সরে এলো মারাত্মক বন্যার কবলে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রিয়ার মানবিক সহায়তা সাড়ে সাত মিলিয়ন ইউরো জার্মানির অভিবাসন নীতি বদলে ফেলার বিপক্ষে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস অভ্যুত্থান পরবর্তী লুটপাট বন্ধ হওয়ায় ভারত বাংলাদেশে আগ্রাসন চালাতে চায়:রিজভী ভোলার বীর সন্তান শহীদ শাকিল কে স্মরণীয় রাখতে ডিসি কে স্মারকলিপি প্রদান দেশকে তপ্ত শ্মশানে পরিণত করতে চাই:জামায়াত ঝালকাঠি তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাবের মানববন্ধন

অস্ট্রিয়ার লকডাউনের পর রবিবার দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা রাখার প্রস্তাব-চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট

কবির আহমেদ কূটনীতিক প্রতিবেদক অস্ট্রীয়া
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০

অস্ট্রিয়ার লকডাউনের পর রবিবারও দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা রাখার প্রস্তাব-চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট

অস্ট্রিয়ায় আসন্ন ক্রিসমাসের পূর্বে ব্যবসা-বাণিজ্যকে বাঁচাতে লকডাউনের পর রবিবারও দোকানপাট খোলা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অস্ট্রিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এর প্রেসিডেন্ট Harald Mahrer। তিনি আজ Ö3- „Frühjournal“এ এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। তিনি জানান, যে মুহূর্তে ক্রিসমাস ব্যবসা জমজমাট হওয়ার কথা ছিল ঠিক সেই সময়ে দ্বিতীয় লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর অস্ট্রিয়ার উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি ও বিনিয়োগে এক বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং, চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট হ্যারাল্ড মাহার লকডাউন শেষে অস্ট্রিয়ায় রবিবারেও ব্যবসা -বাণিজ্য ও দোকান-পাট খোলার প্রস্তাব দিয়েছেন সরকারকে।

অস্ট্রিয়ান ফেডারাল ইকোনমিক চেম্বার বা অস্ট্রিয়ান চেম্বার অফ কমার্স দেশের নয়টি রাজ্যে চেম্বারের ফেডারাল প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন এবং অস্ট্রিয়ার অর্থনীতি ব্যবস্থার মধ্যে বিভিন্ন শিল্পের জন্য ১১০ টি বাণিজ্য সমিতির সমন্বয়ে কাজ করে থাকে। বেশীর ভাগ রাজ্যেই চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনের কাছাকাছি সময়ে পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাদের স্থানীয় অফিস রয়েছে।
“আমি বিশ্বাস করি যে, অস্ট্রিয়ানরা সার্থক লকডাউন শেষ করে তাদের প্রিয়জনদের জন্য পুনরায় কেনাকাটা করতে পারবে এবং সে জন্য খুব বাস্তববাদী সমাধানের প্রয়োজন হবে,” চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট হ্যারাল্ড তাই মনে করছেন।

তিনি বলেন,বর্তমানের দ্বিতীয় লকডাউনটি আমাদের”বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত প্রবল আঘাত” বলে মন্তব্য করেছেন হ্যারাল্ড মাহরের। তিনি স্মৃতিচারণ করে আরও বলেন,ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০০৮-এর সময় রবিবার অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন শপিংমল খোলা রাখা হয়েছিল এবং প্রচুর ব্যবসা-বাণিজ্য হয়েছিল। তিনি সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন,খুচরা বিক্রেতাদের অ্যামাজন এবং কোংয়ের বিরুদ্ধে নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যের রক্ষা করার সুযোগ দিতে হবে। বর্তমানে ইতালি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রবিবার দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য খোলা রয়েছে।

ভিয়েনা সিটির অন্যতম শপিংমল “Lugner City” – এর মালিক Richard Lugner অস্ট্রিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাবকে সমর্থন ও স্বাগত জানিয়েছেন। লুগনার সিটির মালিক রিচার্ড লুগনার বলেন,তিনি কয়েক দশক যাবৎ রবিবার দোকানপাট খোলা রাখার ব্যপারে প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। তিনি আরও জানান রবিবার দোকানপাট খোলা রাখার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকেও অনেক আগ্রহ দেখা গেছে। রবিবার দোকানপাট খোলা থাকলে পরিবারের সবাই একসাথে কেনাকাটার জন্য দোকানপাটে আসবে একথা শতভাগ সত্য। ফলে রবিবার আমাদের দেশে দোকানপাট খোলা থাকলে করোনার জন্য স্থবির দেশের অর্থনীতি পুনরায় সচল হতে বেশী সময় নাও লাগতে পারে। অস্ট্রিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ও সমন্বয়কারী ড্যানিয়েলা এবার্ট রবিবার দোকানপাট খোলা রাখার প্রস্তাব কে সমর্থন করে বলেন, লকডাউনের ফলে অনেক শ্রমিক বেকার ও স্বল্প সময়ের কাজে ছিলেন। ফলে অনেক অস্ট্রিয়ান স্বল্প সময়ের কাজে বা বেকারত্বের ফলে তাদের এখন আর ব্যয় করার মতো অর্থ নেই। বড়দিনের আগে বাকি রবিবারে সমস্ত কিছু তৈরি করা যায়নি। “যারা রবিবার কেনাকাটা করতে চান তাদের জন্য বৃহত্তর আঞ্চলিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত,” এবার্টের দাবি। “যদি চেম্বার অফ কমার্স এটি সমর্থন করতে প্রস্তুত হয়, আমরাও সেখানে থাকব। আজ অস্ট্রিয়ায় করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৬,৯৯৫ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬২ জন। ভিয়েনায় আজ আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ১,১৮৮ জন। অস্ট্রিয়ার অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে OÖ রাজ্যে ১,৭০৬ জন,NÖ রাজ্যে ৯৮৫ জন,Tirol রাজ্যে ৯১৩ জন, Stmk.রাজ্যে ৭২৬ জন,Sbg রাজ্যে ৪৯৫ জন, Ktn. রাজ্যে ৪৮২ জন,Vbg রাজ্যে ৩৫৫ জন এবং Burgenland রাজ্যে ১৪৫ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত সনাক্ত হয়েছেন। অস্ট্রিয়ায় এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,২৮,৬৪৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ২,১১৬ জন। করোনার থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১,৪৯,৫৪১ জন। বর্তমানে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৭,০২৬ জন। এর মধ্যে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আইসিইউতে আছেন ৬৮৩ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪,৬১৪ জন। বাকীরা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
বিডিনিউজ ইউরোপ/১৯ নভেম্বর/জই


আরো বিভন্ন ধরণের নিউজ