সাবিনার সঙ্গে যাচ্ছেন জাপানে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া
চতুর্থবারের মতো মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবল খেলতে বুধবার মালে যাচ্ছেন জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তবে তিনি একা নন, একই ক্লাবে খেলতে সাবিনার সঙ্গে যাচ্ছেন জাপানে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়া।
দেশের ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের এ দুই ফুটবলার মালদ্বীপে খেলবেন ধিবেহি সিফাইং ক্লাবে। এটি মূলত মালদ্বীপ ডিফেন্স ফোর্সের ক্লাব। এই ক্লাবেই আগে দুইবার খেলে এসেছেন সাবিনা।
জাপানি মাতসুশিমা সুমাইয়ার বাবা বাংলাদেশি এবং মা জাপানি। দুই বছর বয়স থেকেই সুমাইয়া থাকেন বাংলাদেশে। শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি দারুণ টানা সুমাইয়ার। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন তার। পরপর দুই বছর তিনি নারী ফুটবল লিগে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসে। গত মৌসুমে দুটি গোলও করেছেন সুমাইয়া।
মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে খেলার সুযোগ পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত সুমাইয়া। বিডিনিউজ ইউরোপ কে তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি বিদেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলার সুযোগ পেয়ে। ঐ ক্লাব থেকে আমার এজেন্টের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আমি উইমেন ফুটসাল ফিয়েস্তায় খেলার জন্য ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি করেছি। বুধবার দুপুরে ফ্লাইট। প্রথম ম্যাচ ২১ নভেম্বর। মোট ৬ টি ম্যাচ খেলবো।
চুক্তি কতদিনের এবং পারিশ্রমিক কেমন? সুমাইয়া বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টের জন্যই চুক্তি। আর পারিশ্রমিক? সেটা বলছি না। আমি খেলার সুযোগটাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।’
সাবিনা খাতুন ২০১৬ সালে এই ক্লাবে চার ম্যাচ খেলে ৩১ গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। টুর্নামেন্টে তার ক্লাব রানার্সআপ হওয়ার পেছনে বিশাল ভূমিকা ছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের।
সাবিনা ২০১৫ সালে প্রথম বাংলাদেশি নারী ফুটবলার হিসেবে মালদ্বীপে খেলতে গিয়েছিলেন। মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবের জার্সিতে ৫ ম্যাচে ৩৭ গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেট বুট। প্রথমবারও নিজ দলকে রানার্সআপ করতে বড় ভূমিকা ছিল সাবিনার।
বিডিনিউজ ইউরোপ২৪ডটকম/৯ নভেম্বর/জই